ঝিমিয়ে পড়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা , দিনাজপুরের ১৩ টি উপজেলায় নতুন করে মাদকের ব্যবসা যমজমাট॥
মোঃ আফজাল হোসেন ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় নতুন করে মাদকের ব্যবসা জমে উঠেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ কে ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের পুরাতুন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কতিপয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সর্ম্পক গড়ে তুলে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
এখন নগদ টাকা হাতে নিতে হয়না। বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে। চলতি মাসে পাবর্তীপুর এবং ঘোড়াঘাট এলাকায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল সহ ৩ জন আটক হয়। দিনাজপুরের হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ফুলবাড়ী চিরিরবন্দর, বিরল, বীরগঞ্জ, কাহারুল,বোচাগঞ্জ, ও দিনাজপুর সদর সহ ১৩ টি উপজেলায় মাদকের ব্যবসা নতুন করে শুরু হয়েছে। আপর দিকে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সীমান্তের ওপার থেকে চোরাই পথে মাদক আসায় এইসব মাদক বিভিন্ন উপজেলা সহ অন্যান জেলায় চোরাই পথে চলে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার এজেন্টদের মাধ্যমে বা সোর্স এর মাধ্যমে খবর পেয়ে মাঝে মধে ২/১ জন ধরা পড়লেও রাঘোব বোয়ালরা ধরা ছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। বর্তমান একটি ফেন্সিডিলের মূল্য ৬ শত টাকা ও ইয়াবার মূল্য ১৫০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। মোবাইলের ম্যাসেজের মাধ্যমে এখন মাদক বিক্রয় বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, পাবর্তীপুর ও নবাবগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক মাদক বিক্রয় চলছে। বর্তমান স্কুল, কলেজের ছাত্ররা এবং শ্রমিক শ্রেনীর লোক জনেরা এবং প্রভাবশালী পরিবারের ছেলেরা জড়িয়ে পড়েছে এই মাদকের দিকে। বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেও মাদকের বিস্তার কমছেনা। এমনকি মাদক ব্যবসায়ীরা আগের তুলনায় রুট পরিবর্তন করে বিভিন্ন কৌশলে মাদকের ব্যবসা করছে। ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২৬ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা থাকেলও মাদক বিক্রিয় মোটেই বন্ধ হয়নি। এরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের সাথে গোপনে সম্পর্ক রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে র্যাব-১৩ অভিযান চালিয়ে আটক করলেও ফুলবাড়ীর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের খোজ মিলাতে পারেনা। তারা সেবন কারীদের আটক করলেও ব্যবসায়ীদেরকে আটক করতে পারছে না। মাদক নিয়ন্ত্রন অভিযান ঝিমিয়ে পড়েছে। এখনই এদের বিরুেেদ্ধ ব্যবস্থা না নিলে ফুলবাড়ী সহ দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় মাদক ব্যবসা বেড়ে যাবে। যুব সমাজ ধ্বংশের দিকে ধাবিত হবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহল মাদক নিয়ন্ত্রনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।