ইসলামপুরে কোচিং বাণিজ্যের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি স্পেশাল টিচিং হোম নাম দিয়ে” কোচিং বাণিজ্য!

ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরে কোচিং বাণিজ্যের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে,ইসলামপুর উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাথমিক স্কুল,হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা ঘরভাড়া নিয়ে নামে বেনামে সাইনবোর্ড টানিয়ে কৌশলে কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। পরীক্ষা ভালো ফলাফলের লোভ ও সব বিষয়ে কোচিংয়ের কথা বলে যমুনা-ব্রক্ষপুত্র নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার সন্তানদের অভিভাকদের কাছে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। অভিযোগ উঠেছে,কোচিং বাণিজ্যে জরিত শিক্ষকদের কারণেই উপজেলা শিক্ষার বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে,ব্যাহত হচ্ছে সঠিক পাঠদান কার্যক্রম। ছুটির ঘন্টা বাজার আগেই ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষক শুন্য হয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়সমূহ। অভিভাবক ও শিক্ষার্থী প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে খোজঁ নিয়ে জানা গেছে,ইসলামপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে “স্পেশাল টিচিং হোম নাম দিয়ে” দীর্ঘদিন ধরে দিবারাত্রি ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ শ্রেনি পর্যন্ত কোচিং বাণিজ্য করছে সরকারি নেকহাজাহান পাইলট মডেল হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান(টুটুল)। এছাড়াও এ কোচিং বাণিজ্যের সাথে জরিত রয়েছেন একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো: মোরাদুজ্জামান,ফরহাদ হোসেন ও ফজলুল হক। এছাড়াও হাড়িয়া বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইনুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন কোচিং বাণিজ্যে সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন। কোচিং সেন্টারটি’র পরিচালক মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান,কোচিং নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে করতে পারে কিছুই হবে না।
এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা কোচিং বানিজ্য বন্ধ কমিটি’র সদস্য অধ্যক্ষ আঃছালাম জানান,স্কুল সময়ে কেউ কোচিং বাণিজ্য করলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃগোলাম মোস্তফার নিকট বক্তব্য চাইলে তিনি বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যান। এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা অনুযায়ী অবৈধ কোচিং বাণিজ্য ও কোচিংয়ে জরিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *