ট্রাফিক আইন মানলে সড়কে স্বস্তি ফিরবে- “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন”
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘ট্রাফিক আইন মানলে সড়কে স্বস্তি ফিরবে। তার প্রমাণ হেলমেট ছাড়া কেউ এখন মোটরসাইকেল চালায় না। তাই বাসচালক, যাত্রী এবং পথচারীরা যদি ট্রাফিক আইন মানেন তাহলে সড়কে যে বিশৃঙ্খলা সেটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’ মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে ট্রাফিক পক্ষ উদ্বোধনকালে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই সড়কে নামলে মনে প্রশ্ন জাগে আমরা ওই জায়গায় কত সময়ে যেতে পারবো। এ প্রশ্নের উত্তর সহজ করতে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তারপরও সেটি যথেষ্ট নয় মনে করে আমরা আবারও ১৫ দিনব্যাপী ট্রাফিক পক্ষ পালন করতে যাচ্ছি। এ ট্রাফিক পক্ষের মাধ্যমে সবাইকে ট্রাফিক বিষয়ে সচেতন করতে আমরা চেষ্টা করবো। আমরা যদি সবাই মিলে এ ট্রাফিক নিয়মগুলো মানার চেষ্টা করি তাহলে আমাদের এ দুর্বিষহ যানজট নিরসন হয়ে যাবে।’ ছয় মাস আগেও মোটরসাইকেল চালকরা হেলমেট পরতো না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন সবাই হেলমেট পরছে। আমরা শৃঙ্খলায় ফিরতে চাই, এটা তার প্রমাণ। তাই আমরা ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশকে দেখাতে চাই কিভাবে আইন মানলে স্বস্তিদায়ক হয় চলাচল। এতে কেউ যদি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে কিছুটা সময় বাঁচাতে পারে তাহলে আমরা মনে করবো আমাদের চেষ্টা সফল হয়েছে। আমাদের এ ট্রাফিক সপ্তাহে আপাতত রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা সংযুক্ত হবে। প্রয়োজনে রবিবার স্কাউটের সদস্যরাও সংযুক্ত হবে।’ পথচারী, যাত্রী এবং বাস চালকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। তাই এটি কানে লাগিয়ে বাস চালাবেন না, মোটরসাইকেল চালাবেন না, রাস্তা পারাপার হবেন না। তাহলেই সড়কে দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। আপনাদের সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি আপনার চলতি অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে অতি জরুরি হলে রাস্তার এক পাশে থেমে কথা সেরে নিবেন। তবুও চলতি অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করবেন না।’ বক্তব্য শেষে ১৫ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটা থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক পক্ষ ঘোষণার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘যে ফুটওভার ব্রিজগুলো রয়েছে সেগুলো অনেকটা অনুপযোগী ছিল, এখন সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা নানাবিধ চেষ্টা করেছি; বাস মালিক হতে শুরু করে যাত্রীদেরও সচেতন করার। আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা আশাবাদী, পরিবর্তন হবেই।’তিনি জানান, ‘এবার রাজধানীর প্রায় ৫৭টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা সদস্যরা ট্রাফিক সচেতনতায় কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে রাজধানীজুড়ে। এতে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক বিজয় সরনীতেও উন্নয়ন কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখার। তবে সবাই যদি আইন মেনে চলে তাহলে পরিবর্তন অবধারিত।’এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান মনিরুল ইসলাম, ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল করিমসহ পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।