তরঙ্গনীতির আলোকে গবেষণা প্রতিবেদন বাংলাদেশ প্রথমে কলুষমুক্ত একটি রাষ্ট্র হওয়া জরুরী রাষ্ট্রকে কুলশীত করছে কর্তৃত্ত¡বাদী, বিভ্রমে রয়েছে পিআইও
জামালপুর (সরিষাবাড়ী) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ প্রথমে কলুষমুক্ত একটি রাষ্ট্র হওয়া জরুরী বলে জানিয়েছেন অন্তরালের গুণীরা। কর্তৃত্ত¡বাদীর প্ররোচনামূলক ছত্রছায়া থেকে রাষ্ট্রকে কলুষমুক্তকরণ তথা দূর্নীতিগ্রস্থ রাষ্ট্রীয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের কাট-ছাট করত:দারিদ্র্য মোচনের সক্ষমতাকে অব্যহত রাখার অনুরোধ জানান তারা। দারিদ্য্র জয়ের বাংলাদেশ বৈশ্বিক আখ্যাবাদ পেয়ে থাকলেও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সে জয়ের বাস্তবমুখী প্রদর্শনের সারমর্মে বলেছিলেন,‘যে দেশের চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র ও কাউন্সিলররা টিআর, জিআর, কাবিখা, কাবিটা লুটপাট করছে এবং দরিদ্র, হতদরিদ্র ও মেহনতি মানুষের জন্য সরকারী বরাদ্দের বন্টনজনিত অর্থনৈতিক সঙ্গতি আত্মসাতের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনকে বিলুপ্ত করছে সে দেশকে দারিদ্র্য জয়ের দেশ বলা বাঞ্চনীয় হতে পারেনা বলে গণমাধ্যমকে আঙ্গুল উচিয়ে দূর্নীতি দেখাতে সক্ষম হলেও তার প্রতিকারে তৎপর ভূমিকা নিতে পারেনি কোন মহল’। বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট উৎসুক মননশীলতা নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষে বিশ্ব ব্যাংকের দফতর থেকে এমন উদ্বৃতি করেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত এক (০১) নীতির আলোকে একচীন নীতির সরকার মাত্র তিন দিনে তিনলক্ষ দূর্নীতিগ্রস্থ রাষ্টীয় কর্মচারী-কর্মকর্তাকে কাট-ছাট করতে সক্ষম হয়েছিল (চীন) এবং বৈশ্বিক রূপরেখায় স্পর্শকাতর একচীন নীতির প্রজ্ঞার চেলেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল দেশটি। স্বার্থেরও পূর্বে চীন বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাওয়ার অঙ্গিকার ও পাকিস্তান অর্থনীতিবীদদের ৭১-এর ক্ষত সারানোর অনুতাপমূলক উদ্বৃতি এবং জি-৭ মন্ত্রীসভার প্রত্যয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাজনীতি ও অর্থনীাতির আলোচনার পূর্বে এক (০১) ইশ্বরের উপাসনায় গুরুত্ব বহন ও ভারত মহা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক (০১) ইশ্বরবাদের স্বীকৃতি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত তরঙ্গনীতির (এক (০১) নীতি) প্রমান বহন করে চলেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ক্ষমতা পূনরার্জনের অধিগ্রহনমূলক ব্যত্যয় সাফল্যময় বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি বলে অন্তরালের গুনীমহল থেকে জানানো হয়েছে। মহলটির গবেষণামূলক অভিযোগ গ্রহনের রাষ্ট্রীয় বিচারিক তৎপরতা কলুষমুক্ত রাষ্ট্রীয় সরকারের তথ্য প্রাপ্তীর আশাবাদকে আরও বেশী অর্থবহ করে তুলেছে। তাছাড়া, সত্যকে গ্রহন ও মিথ্যাকে বর্জনের আকাশ সংস্কৃতির (এক (০১) ইশ্বরবাদ) ডামাডোলের স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা গুণীমহল জামালপুর জেলা প্রশাসকের তথ্য ও অভিযোগ শাখাকে সাধুবাদ জ্ঞাপন করেছেন। সরকারকে ফাঁকিতে ফেলে কর্তৃত্ত¡বাদীর ছত্রছায়ায় সরকার কর্তৃক প্রদেয় বরাদ্দ বন্টনের অপ-সম্বন্বয়মূলক কর্মকান্ডে দারিদ্য্র মোচন বিলুপ্তির বিভৎসতা এমন তথ্যÑউপত্তে¡র সৃষ্টি করেছে। জানাগেছে, গত ০৫/০৭/২০১৮ইং তারিখে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সরিষাবাড়ী, জামালপুর-এ ঠিকানায় এস এম খোরশেদ আলম, প্রতিনিধি, দৈনিক আজকের প্রভাত, সরিষাবাড়ী, জামালপুর কর্তৃক তথ্যানুসন্ধান মহলের প্রতিনিধিত্বে একটি নথিপত্র অর্পণ সংক্রান্ত বিষয়ের অভিযোগ করেন তিনি এবং জামালপুর জেলা প্রশাসকের তথ্য ও অভিযোগ শাখা তথা সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জ্ঞাতার্থে অনুলিপি করা হয়। ঐ তথ্যে বলা হয়,‘সরকারের প্রদেয় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দের বন্টনজনিত বিভাজনের প্রত্যাবর্তনীয় ধারায় অসামঞ্জস্যতা বহন করছে বলে সুক্ষ অনুমানে উপনিত হয়েছেন গুণীমহল। সরকারের বরাদ্দ প্রদানের বন্টন ও প্রত্যাবর্তনের সত্যনিষ্টতা কীভাবে সরকারকে বোঝানো হচ্ছে তার নথিপত্র অর্পণের কথাও ঐ তথ্যে বলা হয়েছে’। প্রত্যুত্তরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, তথ্য ও অভিযোগ শাখা কর্তৃক গত ৩০/০৮/২০১৮ইং তারিখের ইস্যুকৃত চিঠির উত্তরের অপেক্ষায় নথিপত্র অর্পণ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনান্তে ১৮/০৯/২০১৮ইং তারিখের মধ্যে তথ্য ও অভিযোগ শাখাতে সরিষাবাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করার অনুরোধ করা হলেও উত্তর না দিয়ে বরং আইনি বোধগম্যের বাইরে রয়েছেন পিআইও। তরঙ্গনীতির গবেষণাগার থেকে জানানো হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের কলুষমুক্ত সরকারের নির্দেশনার বাস্তবায়নে সচেষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে এবং কর্তৃত্ববাদীর প্ররোচনামূলক আত্ম-লোভজনিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে না পড়ার বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা’। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘তৃণমূল দারিদ্র্য বিমোচন কল্যাণ পরিষদ (তৃদাবিকপ)’ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, ‘সরকারের প্রদেয় বরাদ্দের বন্টনীয় বিভাজ্যের প্রত্যাবর্তনের আইনি ধারার অমর্যাদায় কর্তৃত্ত¡বাদীর সাথে অপ-সমন্বয়ের রূপরেখায় দারিদ্র্য মোচন, সংস্কার ও উন্নয়নকে ব্যহত করছে। উপজেলা পিআইও দপ্তরের কর্মচারী, কর্মকর্তাদের এমন অশুভনীতির আত্ম-লোভজনিত ইচ্ছা পূরনের বিভ্রম থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি’। জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন,‘তথ্যগুলোর উপস্থাপন একসাথে করতে হবে নাকী অন্য কোন কিছু আসলে, নথিপত্র অর্পণ সংক্রান্ত বিষয়টি তথ্য ও অভিযোগ শাখাতে উত্তর করার লিখনী কোন সাংবাদিকের রয়েছে বলে আমার মনে হয়নি বরং এ লিখনী ভিন্ন কোন মহলের (গুনীমহল)। যা আমাদের বোধগম্যের বাইরে এবং তা জানার প্রয়োজন রয়েছে’।