চাঁদা আদায়ে পুলিশের কাÐ টাঙ্গাইলে প্রাণ গেল দোকানির
এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) : চাঁদা আদায়ের সময় ইয়াবা দিয়ে এক দোকানিকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলে সদর থানা পুলিশের এস.আই আমির হামজার বিরুদ্ধে। এ সময় ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে বাদল মিয়া নামে এক দোকানির মর্মান্তিক হয়েছে বলে অভিযোগে করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ২৫ নভেম্বর রোববার রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে এক ঘণ্টা আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এস.আই আমির হামজাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ছাড়া বাদল মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এস.আই আমির হামজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শফিক মিয়া জানান, রাতে পুলিশের এক সোর্স এসে তার দোকানে পাঁচটি সিগারেট চায়। এ সময় তিনি সিগারেট দেয়ার পর ওই প্যাকেটে সোর্স ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে দিয়ে বলে আপনি এগুলোর ব্যবসা করেন। এটি বলার সঙ্গে সঙ্গে এসআই আমির হামজাসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে শফিককে জেরা করতে থাকেন।
এ সময় শফিক জানান, প্যাকেটে আপনাদের সোর্স (পুলিশের) ইয়াবা রেখেছে। আমার দোকানে সিসি টিভি লাগানো আছে, ফুটেজ দেখতে পারেন। এর পরপরই পুলিশ ফুটেজ নিয়ে নেয় এবং শফিককে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশ-পাশের ব্যবসায়ীরা তাদের ঘিরে ফেলেন এবং পুলিশের সোর্সকে গণপিটুনি ও এসআই আমির হামজার সঙ্গে দোকানের আরেক মালিক বাদল মিয়ার ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় বাদল মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশের অন্য সদস্যরা এসে সোর্স এবং এস.আইকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিরালার মোড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, স¤প্রতি এসআই আমির হামজা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ছাড়া আরেক ব্যবসায়ী জানান, দোকানে রেডবুল নামের ড্রিংস রাখার কারণে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে দোকান থেকে পাঁচটি রেডবুল ও টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার এসআই আমির হামজা বলেন, ‘বিষয়টি বড় না করলে হয় না? আর বাদল মিয়া ধস্তাধস্তির কারণে নয়, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।’