ফুলবাড়ীর মইচান্দা গ্রামে গভীর নলকুপে পল্লীবিদুৎ কতৃপক্ষ বিধিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ ভাবে লাইন নির্মানের পায়তারা
মোঃ আফজাল হোসেন ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির মইচান্দা গ্রামে দিনাজপুর পল্লীবিদুৎ সমিতি-২ এর কতৃপক্ষ অবৈধ ভাবে থ্রিফেস লাইন উৎকোচেন বিনিময়ে নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। ফুলবাড়ী উপজেলার কাজীহাল ইউপির দাসিয়াড়া গ্রামের মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর পুত্র মোঃ নুরুজ্জামান এর অভিযোগে জানাযায় ফুলবাড়ী উপজেলা সেচ কমিটির পক্ষথেকে গত ২১/০৪/২০১৫ ইং তারিখে উ.ঞ.ড সেচ লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। যাহার লাইসেন্স নং -১৯ গণকু/ফুল ১৫-১৬ ইং। লাইসেন্স পাওয়ার পর দিনাজপুর পল্লীবিদুৎ সমিতি-২ এর উ.ঞ.ড (গভীর নলকুপ) এ বিদুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেন। এরপর পল্লীবিদুৎ কতৃপক্ষ তার গভীর নলকুপটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগে পাওয়ার জন্য মাস্টার প্লান এর লাইন নির্মান করা হয়েছে। তার বরিং থেকে ১ হাজার ফুট দূরে, দাগ নং- ৯৫০, খতিয়ান নং-১৯৩, জে এল নং-১৬২ , মৌজা মইচান্দা গ্রামের মোঃ মামুনুর রশিদ পিতা মৃত শফি উদ্দিন মন্ডল জোর করে বিধিমালা লঙ্ঘন করে গভীর নলকুপ বরিং করে উপজেলা সেচ কমিটি থেকে মিথ্যা তথ্য প্রদার করে । লাইসেন্স বাহির করে সেই লাইসেন্স এর মাধ্যমে বিদুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। অথচ ৯৫০ নং দাগে মোঃ মামুনুর রশিদ ফুলবাড়ী উপজেলা সেচ কমিটির পক্ষ থেকে কোনো প্রকার লাইসেন্স পাননি। মোঃ মামুনুর রশিদ অবৈধ ভাবে তার নাম পল্লী বিদুতের মাস্টার প্লানে ঢুকানোর চেষ্ঠা করে। অপর দিকে দিনাজপুর পল্লীবিদুৎ সমিতি-২ তদন্ত করার পর মোঃ মামুনুর রশিদের নাম অবৈধ বলে প্রমান হয়। ফলে তার লাইনটি স্থগিত করে রাখেন। কিন্তু এলাকার পরিচালক মো মমিনুল হক এর বিরুদ্ধে মোঃ নুরুজ্জামান অভিযোগ তুলে বলেন তার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। অপরদিকে আমি টাকা না দেওয়ার কারণে মামুরুর রশিদের লাইনটি নির্মান করার হুমকি প্রদান করেন। গত ০৬/১০/২০১৮ ই্ং তারিখে রাত্রি সাড়ে ১২ টায় এলাকার পরিচালক নিজে দামার মোড় সাবষ্টেশন এলাকায় গিয়ে মোবাইল করে সাত ডাউন নেয়। রাত্রি সাড়ে ১২টায় ঐ স্থানে গিয়ে রাত্রি ৩ টা পর্যন্ত পল্লীবিদুৎ এর লাইন বন্ধ রাখে আর এই সময়ের মধ্যে মোঃ মমিনুল হক প্রতিপক্ষ মোঃ মামুনুর রশিদ অবৈধ পন্থায় অবৈধ ঠিকাদারের লোকজনের মাধ্যমে পল্লীবিদুৎ অফিসের মালামাল ছাড়ায় অবৈধ ভাবে উ.ঞ.ড এর দুই স্পেন থ্রিফেস লাইনটি নির্মান করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ নুরুজ্জামান জেনারেল ম্যানেজার দিনাজপুর পল্লীবিদুৎ সমিতি-২ ও চেয়ারম্যান পল্লীবিদুতায়ন বোর্ড, খিলক্ষেত ঢাকা বরাবর গত ০৬/১০/২০১৮ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে দিনাজপুর পল্লীবিদুৎ সমিতি-২ এর জি.এম সন্তোষ কুমার এর সাথে গত বৃহস্পতিবার ১১ই অক্টোবর মুঠোফোনে কথা বলে তিনি সংবাদিক কে জানান, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত কমিটি এখনও প্রতিবেদন দাখিল করেননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে মোঃ নুরুজ্জামান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান পল্লীবিদ্যুতায়ণ উদ্ধতর্ন কতৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।