সিন্ডিকেটে হরিপুর যাদুরাণী মাছ বাজার
জে.ইতি হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বড় মাছ বাজার নিয়ন্ত্র করছে এখন সিন্ডিকেটে। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ বিভিন্ন ধরনের মাছের এখন আকাশ ছোঁয়া দাম হয়েছে। নদীনালা,খালবিল,হওড়বাওড়ের দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সাধারন ক্রেতারা চাষের মাছের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় সেসব মাছের দামও উর্দ্বমূখি। বাধ্য হয়ে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রীত মাছের বাজার থেকে ক্রেতারা উচ্চ মূল্যে মাছ কিনতে বাধ্য হচ্ছে। যাদুরাণী বড় বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই মাছের দাম বেড়েছে। দেশীয় প্রজাতির রুই,কতলা, কই,মাগুর, চিংড়ি,পাবদা, টেংরা,পুটি, বোয়াল, শোল, টাকি,বাইন,সিংগি, প্রভৃতি মাছের দাম বেড়েছে বহুগুন। তিনি আরো জানান, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্র যাদুরাণী মাছ বাজার থেকে বেরিয়ে আসা দুরহ ব্যাপার। তবে কর্তৃপক্ষ সোচ্চার হলে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নারগুন এলাকার এক বিক্রেতা ১৪ টা বড় সাইজের দেশীয় কই মাছ নিয়ে এসেছে বড় বাজারে বিক্রি করার জন্য। সে ঐ পরিমান কই মাছের দাম হেকেছে ৭০০ টাকা। এসময় ক্রেতারা সমালোচনার মুখর হয়ে ওঠেন। কয়েকজন ক্রেতা ভীষন উষ্মা প্রকাশ করেন। তারা উচ্চ স্বরে বলে ওঠেন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করছে বলেই মাছের দাম বেড়ে গেছে। ১৪ টা বড় সাইজের দেশীয় কই মাছ ( অনুমান এক কেজি) কিছু দিন পূর্বেও ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় কেনা গেছে। পরে মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোয়াল মাছ ৪০০/৮০০ টাকা করে। সিংগি মাছ বিভিন্ন সাইজের ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। শোল মাছ ছোট ৩০০ টাকা বড় ৫৫০ টাকা কেজি। চাষের মাছ তেলাপুইয়া ছোট ১৫০/২০০ টাকা কেজি। রুই/মিরকা ছোট ১৮০ টাকা বড় ৪০০টাকা কেজি পর্যন্ত দরে। দেশীয় মাগুর মাছ দুঃষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে বলে বিক্রিতারা জানিয়েছে। চাষের মাগুর/সিংগি মাছ এখন বিক্রি কমে গেছে। বাজারে পাবদা,বাইনসহ বেশ কিছু দেশীয় প্রজাতির মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার এম.জে আরিফ জানান, যাদুরানী বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে এ খবর আমার জানা নাই।
যদি কখনো এ ধরনের খবর পাওয়া যাই তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্তা নোওয়া হবে।