বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গনের মুখে দেড়কিলো রাস্তাবিলীন এলাকাবাসির দুর্ভোগ চরমে


এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বনগ্রাম ইউনিয়নের বহরবৌলা গ্রামের দেড় কিলোমিটার রাস্তা বলেশ্বর নদীতে বিলীন হওয়ায় স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসির চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বহরবৌলা গ্রামে যেতে রাজবাড়ি থেকে বহরবৌলা স্কুল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ইট সলিং রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শতাধিক বিঘা ফসলী জমি গ্রাস করে নিয়েছে বলেশ্বর। প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের। বলেশ্বরের ভাঙ্গনে রাস্তা বিলীন হওয়ায় অমাবশ্যার জোয়ারে পানিতে তলিয়ে যায় বহরবৌলা গ্রামের প্রতিটি বসতঘর। স্থানীয় শিক্ষক মনি শংকর ঢালী, বিষ্ণু ভট্টাচার্য্য, ব্যবসায়ী সুমন শেখ, শংকর রায়, কলেজ ছাত্রী সতাব্দী মন্ডলসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রতিদিন চলাচলের জন্য ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাছের সাকো তৈরী করা হয়েছে। গ্রামটিতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। এর মধ্যে ভোটার রয়েছে ১ হাজারেরও বেশী। এখানে ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ টি মসজিদ ও ৬টি মন্দির রয়েছে। এ ছাড়াও সিমান্তবর্তী পিরোজপুর জেলা শহরের সরকারি মহিলা কলেজ ও বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বনগ্রাম সেঞ্চুরি ইনষ্টিউট, পুটিয়া গালর্স মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে।ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুভাষ চন্দ্র মল্লিক বলেন, প্রায় ১ যুগ আগে রাজবাড়ি থেকে বহরবৌলা হয়ে পাশ্ববর্তী কচুয়া থানা অভিমুখী এই ইট সোলিংয়ের রাস্তাটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়েছিলো। ২০০৭ সালে সিডর পরবর্তীতে রাস্তাটি নর্দী গর্ভে বিলীন হতে থাকে। প্রতিবছরই ভাঙ্গছে নতুন এলাকা। স্থানীয়রা মনে করেন, গ্রামটি রক্ষার্থে দেড় কিলোমিটার ভেড়িবাধ নির্মাণ জরুরি।এ সম্পর্কে বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, বহরবৌলা গ্রামের ভাঙ্গন রক্ষার্থে ইতোমধ্যে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বাগেরহাট-৪, সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কোন প্রতিকার ক্ষতিগ্রস্থরা পায়নি।**ছবি সংযুক্ত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *