প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রতির ২২ বছর পার হলেও ঝিনাইদহে নবগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত হয়নি সেতু ভোগান্তিতে ৭ গ্রামের মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নবগঙ্গা নদীর উপর উদয়পুর-বারইখালি সংযোগ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রতিশ্রুতির ২২ বছর পার হলেও এখনো পর্যন্ত সেতু নির্মিত না হওয়ায় প্রতিনিয়তই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নদীপাশ্ববর্তী ৭ গ্রামের মানুষকে। এলজিইডি কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ মানুষকে বাঁশের সাঁকো, নয়তো কলার ভেলায় করে নদী পারাপার হতে হচ্ছে দিনের পর দিন। উদয়পুর গ্রামের মোঃ আক্কাস বলেন, তাঁদের গ্রামের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে ১৯৯৬ সালের ১৫ জুলাই তিনি মারা যান। ১৯৯৬ সালের ৭ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদয়পুর গ্রামে এসে মতিয়ার রহমানের কবর জিয়ারত করেন। মোঃ আক্কাস আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবরে তাঁরা নবগঙ্গা নদীর পাড়ে জনসভার আয়োজন করেন। এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে নবগঙ্গা নদীর ওপর উদয়পুর-বারইখালি ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান। সেতুটি মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের নামে করার প্রস্তাব দেন এলাকাবাসী। প্রধানমন্ত্রীও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে দ্রত এখানে সেতু নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সেতু টি নির্মিত না হওয়ায় সাত গ্রামের মানুষ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। এলাকাবাসি আতিয়ার রহমান বলেন, ঝিনাইদহ শহর থেকে তিন কিলোমটিার দুরে পৌর এলাকা শেষ ও সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়ন শুরু। এরই মাঝে উদয়পুর আর বারইখালী গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলে গেছে নবগঙ্গা নদী। উদয়পুর গ্রামের শেষ প্রান্তে এই নদীর অবস্থান। ঝিনাইদহ শহর থেকে পবহাটির মধ্যদিয়ে উদয়পুর, বারইখালী, ইস্তেফাপুর আড়ুয়াডাঙ্গা, বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম হয়ে মধুপুরে একটি সড়কের রাস্তা মিশে গেছে। এ অঞ্চলের ৭টি গ্রামের মানুষ নদীর উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মানের কোন পদক্ষেপ না দেখে তারা বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনো ফলাফল আসেনি। আতিয়ার রহমান আরো জানান, এ বাঁশের সাঁকো প্রতিবছর নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে নির্মান করতে অনেক টাকা ব্যায় হয়। আমরা চাঁদা তুলে এটি সংষ্কার করি। অনেক শিক্ষার্থী এর আগে নদীতে পড়ে আহত ও একজন নিহত হয়েছে। তারপরেও জীবনর ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলী জানিয়েছেন, এ সেতুটি র্নিমানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের পাঠানো প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সেতুটি নির্মান করা সম্ভব হবে বলে জানান।