ঝিনাইদহে একাধিক হত্যা, ডাকাতি মামলার আসামি পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট (জনযুদ্ধ) পার্টি ও ডাকাত বাহিনীর আঞ্চলীক কমান্ডার বন্দুকযুদ্ধে নিহত, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামে দু’দল ডাকাত দলের গোলাগুলিতে শফি উদ্দীন ওরফে মিনি (৪৭) নামে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে। সাবেক পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট (জনযুদ্ধ) পার্টির সদস্য শফি উদ্দীন মিনি চোরকোল গ্রামের সুবারেক আলী মোল্লার ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, ডাকাতদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগীর ঘটনা নিয়ে শনিবার ভোররাতে হাওনঘাটা নামকস্থানে এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। রাতেই আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করি। শনিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা লাশটি চোরকোল গ্রামের শফির বলে সনাক্ত করে। তিনি আরো জানান, নিহত শফির বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। পুলিশের একটি সুত্র জানায়, নিহত শফি উদ্দীন ওরফে মিনি এক সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা ও পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির ক্যাডার ছিল। পুলিশী তৎপরতায় চরমপন্থি সংগঠনগুলো কোনঠাসা হয়ে পড়লে শফি এলাকায় ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলে। বংকিরা, ভুলটিয়া, খাড়াগোদা, জীবনা, আসাননগর, গোবিন্দপুর ও বাজারগোপালপুরসহ আশপাশ এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনার সাথে শফি জড়িত বলে পুলিশ জানায়। প্রাপ্ত তথ্যমতে, বংকিরার হাওনঘাটায় ২০১২ সালের ১১ ফেব্রয়ারী বিল সেচে মাছ ধরার সময় বঞ্চিত সংগঠনের চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা বিদ্যুতের উপর বোমা হামলা ও গত ১৮ আগষ্ট সেনা সদস্য সাইফুল হত্যার সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শফি জড়িত ছিল। পুলিশ জানায়, ২০০৪ সালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বোমা নজরুলের স্ত্রীকে বিয়ে করে শফি। নিহত শফির পিতা সুবারেক আলী মোল্লা জানান, গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি যায় শফি। বাড়ি ফেরার সময় কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রামের মাঠ থেকে কে বা করা শফিকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আবার কেও কেও বলছেন কোটচাঁদপুরের কাগমারী বাওড় থেকে শফিকে কে বা কারা ধরে নিয়ে যায়। তবে পুলিশ এ সব তথ্য সম্পর্কে কিছুই জানে না।