মহেশপুরের নেপা ইউনিয়নে চাষীরা নির্ধারিত দামে পাচ্ছেনা সার
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের চাষিরা সরকারি নির্ধারিত দামে সার পাচ্ছে না। কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে লাল শালুকে দাম লেখা থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা তা মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে কৃষক ও খুচরা সার বিক্রেতাদের মধ্যে বাকবিতন্ডাও হচ্ছে বলে জানা গেছে। একাধিক খুচরা বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছ, সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, বিক্রি করা হচ্ছে ১৭/ সাড়ে ১৭টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, বিক্রি করা হচ্ছে ২৫/২৬ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা, বিক্রি করা হচ্ছে ১৬/সাড়ে ১৬ টাকা, ডিএপি ২৫ টাকা, বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫/৩৮ টাকা। খুচরা সার ব্যবসায়ি শহিদুল, আলালসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় লালশালুতে লেখে দোকানে টানােনা হয়েছে। কিন্তু আমরা যেখান থেকে সার কিনছি এরপরও লেবার দিয়ে উঠানো এবং দোকানে নামাতে কমপক্ষে প্রতি বস্তায় ৪/৫ টাকা খরচ হচ্ছে। লাভতো দুরে থাক। বাঘাডাঙ্গার সামাদুর রহমান বলেন, অধিকাংশ কৃষকই ফসল জমিতে লাগানোর পরই বাকি নিতে শুরু করে। ফসল বিক্রির পরও হালখাতায় টাকা পরিশোধ করতে চাইনা। অনেক টাকাই অনাদায়ি থেকে যাই। আবার টাকা বাকি থাকার পরও ওই কৃষক বাকি সার নিতে আসে, না দিলে অন্যের নিকট থেকে লেনদেন শুরু করে। বাকি টাকা আদায় করতে অনেক সময় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়তে হয় এমনকি শালিশও পর্যন্ত গড়াই। ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসিন বলেন, সরকার নির্ধারিত মুল্যে সার বিক্রির জন্য প্রকাশ্যে লালশালুতে টানানো আছে। কৃষকসহ সচেতন ব্যক্তিরা কোন সারের কত দাম তা দেখতে পারবেন। মুল্য তালিকা দেখে তারা সার কিনবেন। তবে বেশি দামে সার বিক্রি হচ্ছে বা সরকার নির্ধারিত দামে সার পাচ্ছে না এমন অভিযোগ এখনো আমাদের কাছে কোন কৃষক বা ক্রেতা করেনি। তবে কেউ যদি বেশি দামে বা আইন বহি:ভুত কাজ করেন। আর এমন অেিভযাগ পাওয়া যাই তার বিরুদ্ধে অবশ্যই কৃষি বিভাগ আইনুযায়ি ব্যবস্থা নিবে।