নওগাঁয় শীতকালিন আগাম শিম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা দিন দিন বাড়ছে আবাদ


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালিন আগাম সবজি শিম। ফলনে কম হলেও ভাল দাম পেয়ে খুশি চাষীরা। একারনে প্রতি বছরাই এ অঞ্চলে বাড়ছে শিমের আবাদ।তবে আগাম শিম চাষে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে কীটনাশক কম্পানিগুলোর পকেটে।জানা গেছে, কৃষকরা প্রতি বছর নিজেরা সিম চাষের জন্য বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। সংরক্ষন করা বীজ আগাম গ্রীষ্মকালিন সিম চাষে ব্যবহার করেন। আগাম সিম চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বছরই চাষ করে থাকেন। শীতকালিন আগাম সিম ফলনে কম হলেও বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। প্রতি কেজি সিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে। প্রথমে ফলন একটু কম হলেও, পরবর্তীতে ফলন বেশি হয়। যখন ফলন বেশি হয় তখন আর আগের মতো দামও পাওয়া যায়না। শীতের আগাম শিমে এ পেকার আক্রমণ বেশী হয়। চাষীরা বিভিন্ন প্রকারের কীটনাশক ব্যবহার করলেও এর কোন সুফল পাচ্ছেনা। অনেক কৃষক সিমকে পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে আগ থেকেই কীটনাশক স্প্রে করছেন। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চাষীদের। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগীতা পেলে আগামীতে সীমের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চাষীরা।সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ৬কাঠা জমিতে এবার আগাম সিমের আবাদ করেছেন। গাছে ভাল সিম ধরেছে এবং বাজারে দামও ভাল। প্রায় ১০ কেজির মতো সিম তুলেছেন। প্রতি কেজি সিম ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরকম দাম থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।একই গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন বলেন, ১০ কাঠা জমিতে আগাম সিমের আবাদ করেছেন। প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখনো সিম উত্তোলন শুরু করতে পারিনি। আগাম সিমের আবাদ করায় পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারে এখন সিমের ভাল দাম আছে। কিন্তু যখন বেশি পরিমান সিম উত্তোলন শুরু হবে তখন আবার দাম কমে যাবে।চাঁদপুর গ্রামের কৃষক হানিফ বলেন, সিমের গাছের ডগায় পঁচানি দেখা দিয়েছে। এছাড়া পোকায়ে সিম ছিদ্র করে ফেলছে। কৃষি অফিসের কোন লোককে মাঠে না পেয়ে কীটনাশকের দোকান থেকে দোকানীর পরামর্শে কীটনাশক কিনে স্প্রে করা হচ্ছে। পোকা দমনে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে কীটনাশক কিনতে লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে। নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি সিমের আবাদ করা হয়েছে। এটি একটি লাভজনক ফসল। তবে আগাম সবজি হিসেবে সিমে বিভিন্ন পোকার আক্রমন হয়ে থাকে। বিশেষ করে মোজাইক ভাইরাসে আক্রমণ করলে পাতা হলদে হয়ে যায়। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সেই সাথে কৃষকদের কীটনাশকের দোকানে না গিয়ে সরাসরি কৃষি অফিসে অথবা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিয়ে পরামর্শ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *