আদমদীঘিতে সখের বসে টার্কি পালনে সফলতা
আদমদীঘি প্রতিনিধি: শখের বসে টার্কি পালন করে ব্যাপক সফলতার মুখ দেখছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালসন গ্রামের যুবক ইয়ানুর ইসলাম। সংসারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে সে টার্কি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে বাড়িতে ছোট একটি খামার দিয়ে সফলতা পেয়েছেন। ইয়ানুরের টার্কি খামারের সফলতা দেখতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিনই লোকজন ছুটে আসছেন।জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালসন গ্রামের শাহ পাড়ার এমরুল ইসলামের ছেলে ইয়ানুর ইসলাম বাড়িতে প্রথমে ৬ হাজার টাকায় ৪০টি টার্কি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে বাড়িতে গড়ে তুলেছেন টার্কি খামার। ৪০টি টার্কির মধ্যে থেকে সে ২০টি মুরগি ১০ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। তার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন টার্কি মুরগী, ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করে সে অনেক বড় খামার গড়ে তুলতে চান। এছাড়াও বসত বাড়িতে সে চিনা হাঁস, বয়লার মুরগী, দেশি ও বিদেশী জাতের কবুতরের খামারও গড়ে তুলেছেন। এ সব কাজে তাকে সহযোগিতা করে আসছেন তার চাচা সদর ইউপি মেম্বার এনামুল হক। সরেজমিনে ইয়ানুরের টার্কি খামারে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, ইয়ানুর মূলত মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত। এই মৎস্য ব্যবসার পাশাপাশি বাড়ির পাশে ৩ শতক জায়গার ওপর একটি পোল্ট্রি খামার গড়ে তোলেন। পোল্ট্রি খামার ব্যবসায় তার ব্যাপক লোকসানের ফলে সে সিদ্ধান্ত নেয় টার্কি পালনে। ইয়ানুর জানান, প্রতিটি টার্কি মুরগী দানাদার খাদ্য ছাড়াও কলমি শাক, বাঁধাকপি ও সবজি জাতীয় খাবার খায়। ৪ মাস পর থেকে মুরগী গুলো খাওয়ার উপযোগী হয়। একটি টার্কি মুরগীর ওজন ২৫ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতি কেজি টার্কি মুরগীর মাংস বিক্রি হয় ৬’শ থেকে ৭’শ টাকায়। খেতে বেশ সুস্বাদু। এর মাংসে অধিক পরিমাণে প্রোটিন ও কম পরিমাণ চর্বি রয়েছে। এই মুরগীর রোগ বালাই নেই বললেই চলে। সে আরো বলেন, টেলিভিশন ও পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন সময় টার্কি মুরগীর ওপর প্রতিবেদন দেখে আমার টার্কি পালনের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশে পশু-পাখি পালন করা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক সহজ। ইয়ানুরের দেখাদেখি এখন অনেকেই টার্কি মুরগী পালনে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। রোগ বালাই ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এটি পালন করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। টার্কি একটি বড় আকারের গৃহপালিত পাখি। টার্কি প্রাণী একটি সহনশীল জাত, যেকোনো পরিবেশ দ্রুত এরা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।