ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল বিএম ইন্সটিটিউট’র দু-অধ্যক্ষের পাল্লাপাল্লি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতি
ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল বিএম ইন্সটিটিউট এর অধ্যক্ষের কক্ষে গত শনিবার দিবাগত রাতে কে-বা কারা শত্রæতা বসত: অধ্যক্ষের ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে ভিতরে থাকা সকলপ্রকার মালামাল-চেয়ার-টেবিল, আলমারীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতি করে ছিরে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষসুত্রে জানাগেছে, ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এÐ বিএম ইন্সটিটিউট-এর দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে নানা টানাপোড়েন চলতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটু সুনজর দিলে বিষয়টির সুরাহা হবে বলে অভিজ্ঞমহল তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, ০৯/০৯/২০০৬ইং তারিখে রেজুলেশন নং-৬ অধিবেশন মোতাবেক সভাপতি ও সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে মোর্শারফ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং উপস্থিতিরা আরো সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনের পর অধ্যক্ষের নিয়োগ পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এমনকি ফের প্রতিষ্ঠানটির ০৮/০৪/২০০৬ ইং তারিখের রেজুলেশনের ১৩ নং অধিবেশন মোতাবেক অধ্যক্ষ পদে মোঃ রবিউল ইসলাম নির্দিষ্ট তারিখে যোগদান না করায় সভার সম্মতিক্রমে মোঃ মোর্শারফ হোসেনকে ভারপ্রাপÍ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে কারিগড়ি শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক(রুটিন দায়িত্ব) ও পরিচালক(প্রশাসন) এর যুগ্ম সচিব মনজুরুল কাদের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানা যায়। অভিযোগে আরো জানা গেছে, জালিয়াতি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি আইয়ুব আলী মন্ডল ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি হলে পুর্বের জামায়াত-শিবিরের নেতা ও ভুয়া অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামকে অধ্যক্ষ পদে বহাল রাখার জন্য উঠেপড়ে লেখেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। এছাড়া তিনি ভোলাহাট থানার তথ্যমতে মোঃ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মামলা নং-২০, তারিখ-২৭/০১/২০১৫ ইং তারিখ, ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বিস্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এÐ বিএম ইন্সটিটিউট-এর তৎকালীন অধ্যক্ষ পদে ০২/০৬/২০০৬ ইং তারিখে মোঃ রবিউল ইসলাম যোগদান করেছেন। অথচ তিনি নামোমুশরীভুজা ড. শামসুর রহমান দাখিল মাদ্রাসার স্মারক নং ১৯/২০০৩, তারিখ-২১/০১/২০০৩ মুলে জারিকৃত নিয়োগপত্রের প্রেক্ষিতে ২৮/০১/২০১৩ ইং তারিখে নামোমুশরীভুজা ড. শামসুর রহমান দাখিল মাদ্রাসায় এইচএসসি (ব্যবসায়-ব্যবস্থাপনা) শিক্ষাক্রমে প্রভাষক (ব্যবস্থাপনা) যোগদান করেন। উক্ত পদের বিপরীতে তিনি জুন-২০০৭ পর্যন্ত বেতনভাতা গ্রহণ করেছেন। (তার ইন্ডেক্স নং-২০০৬৭৩৭) পরবর্তীতে তার জালিয়তি/বেআইনী কার্যকলাপ ও কৃতঅপকর্মের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্মারক নং-উ:নি:অ:/ভো/২-২৬/২০০৭-১২৮৯/৭(৬) , তারিখ-১৮/১১/২০১৭ইং তারিখ মুলে সাময়িক ভাবে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এবং ম্যানেজিং কমিটির ৩/২০১৮ইং অধিবেশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যক্ষ নামোমুশরীভুজা ড. শামসুর রহমান দাখিল মাদ্রাসা ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্মারক নং-২০/২০০৮, তারিখ-২২/০৯/২০০৯ইং মুলে তাঁকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। অর্থাৎ মোঃ রবিউল ইসলাম নামোমুশরীভুজা ড. শামসুর রহমান দাখিল মাদ্রাসা ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রভাষক(ব্যবস্থাপনা) পদে ২২/০৯/২০০৯ ইং তারিখ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন এবং সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এÐ বিএম ইন্সটিটিউটে অধ্যক্ষ পদে ০২/০৪/২০০৬ ই তারিখে যোগদান করেন। এতে এটি তিনি ০২/০৬/২০০৬ ইং তারিখ হতে ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এÐ বিএম ইন্সটিটিউটে অধ্যক্ষ পদে এবং নামোমুশরীভুজা ড. শামসুর রহমান দাখিল মাদ্রাসায় প্রভাষক(ব্যবস্থাপনা) পদে কর্মরত থেকেছেন এবং জুন ২০০৭ ইং পর্যন্ত প্রভাষক(ব্যবস্থাপনা) পদের বিপরীতে সরকারের নিকট হতে বেতনভাতা গ্রহণ করেছেন, যা দুর্নীতির সামিল বলে গণ্য।
অভিযোগে জানা গেছে, একই সময় একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় মোঃ রবিউল ইসলাম, অধ্যক্ষ, ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এÐ বিএম ইন্সটিটিউটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে লিখিত ভাবে জানা যায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। সেই সাথে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির পড়ালেখার মান বর্তমান খুবই ভালো বলে প্রত্যক্ষ করা গেছে। তাই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলার সকলস্তরের মানুষ জোর দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।আরো উল্লেখ্য যে, কথিত ভুয়া অধ্যক্ষ দাবীদার মোঃ রবিউল ইসলামকে মোটান ধরণের কালো টাকার বিনিময়ে কলেজে নিয়ে আসা। এমনকি মুরশালীন নামে জনৈক শিক্ষককে প্রভাষক (হিসাব বিজ্ঞান) পদে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১২লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে, শিক্ষক পদে শাহজাদীকে এমপি’র ডি.ও লেটারের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলে অভিযোগে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কথিত অবৈধ অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের সাথে তার মোবাইল ০১৭১১৪৩৬৬৪৮ নম্বরে বার বার কথা বলার চেষ্টা করলেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এÐ বিএম ইন্সটিটিউটের বর্তমান সভাপতি আইয়ুব আলী মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি তাদের প্রতিপক্ষ করেছে বলে দাবী করেন।