কক্সবাজারে হাসপাতালের ডাক্তার আছে সনদ নাই
মোঃ নিজাম উদ্দিন, কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট মা-মনি হাসপাতালের আরএমও ডাঃ দুলালী মন্ডল। প্রাইভেট হাসপাতালটিতে মহিলাদের ডেলিভারিসহ সকল চিকিৎসা কার্যক্রম চালান তিনি। তার প্রচারণা ব্যানারে নামের পাশে এমবিবিএস (সিইউ) সিএমইউ উল্লেখ রয়েছে। সরেজমিনে যাচাই করে ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর কোনপ্রকার সনদ দেখাতে পারেননি। মহিলা চিকিৎসক দুলালী মন্ডল নিজেকে ভূয়া নয় বলেও দাবী করেন। তিনি বলেন, ‘এমবিবিএস পাশ করার পর তার সনদপত্র এখনো উত্তোলন করেননি। সনদ উত্তোলনের ফি জমা দিয়েছেন। আগামী দু’একদিনের মধ্যে তা নিয়ে আসবেন।’ স্থানীয়রা জানায়, মালুমঘাট চা বাগান সড়কে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণের পর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডাক্তারেরা রোগীদের পরীক্ষার জন্য এখানে পাঠাতেন। পরে এটি হাসপাতাল হিসেবে রোগী দেখা শুরু করে দেয়। মালুমঘাটের মা-মনি নামধারী এ হাসপাতালে প্রতিনিয়ত গলাকাটা বানিজ্যের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। অদূরবর্তী পার্বত্য এলাকার লোকজনসহ স্থানীয় মহিলাদের ডেলিভারীসহ অন্যান্য চিকিৎসা নিতে গেলে, ফেরার সময় হাসপাতাল থেকে মোটা অংকের একটি বীল স্লিপ হাতে ধরিয়ে দেয়। সরেজমিনে হাসপাতালটিতে ১০-১৫টি রোগীর সীট থাকলেও চিকিৎসক লক্ষ্য করা গেছে এমডি নিকোলাস ছাড়া মাত্র একজন। এদিকে সচেতন মহলের অভিমত, ভিএমডিসির অনুমোদন বিহীন ডাক্তার, যত্রতত্র প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের গলাকাটা বানিজ্যিক ফাঁদে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ লোকজন। এসবের অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনপ্রকার ব্যবস্থা না নিলে চিকিৎসা খাতের উপর পুরোপুরি বিশ্বাস হারাবে জনসাধারণ।
মালুমঘাট মা-মনি হাসপাতালের এমডি ডাঃ নিকোলাস হালদার প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ডাঃ দুলালীর কোন প্রকার সনদপত্র নাই বলে স্বীকার করেন। তিনি জানান, আগামী একসপ্তাহের মধ্যে ডাক্তার দুলালীর এমবিবিএস ও ভিএমডিসি’র সনদসহ সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এব্যপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন বিষয়টি আমি এখন অবগত হয়েছি। তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুস সালাম বলেন ভূয়া ডাক্তারদের ছাড় দেওয়া হবে না। যে কেউ চিকিৎসক ভূয়া প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।