নাটোরে নির্যাতিত গৃহবধূ চারদিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে কাজলী বেগম (৪৫) নামে এক নির্যাতিত গৃহবধু চারদিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ। মুখের একটি দাত ভেঙ্গে গেছে। উঠে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। আঘাতের জায়গাগুলোতে অসহ্য যন্ত্রণা। যন্ত্রণায় ক্ষণে ক্ষণেই কেঁদে উঠছেন। স্বামীর চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক না দেওয়ায় শশুর বাড়িতে এভাবেই তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন স্বামী ও সৎ মেয়েরা। এতো কিছুর পরও স্বামীর ঘর ছারেননি তিনি। সামাজিকতার চিন্তা করে সব নির্যাতন সয়েই সে স্বামী সংসারেই ছিলেন। সর্বশেষ তাকে যৌতুকের জন্য বেদরক মারপিটের এক পর্যায়ে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তারা। এসময় তিনি বেহুস হয়ে পড়েছিলেন। প্রতিবেশিরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ইতি পুর্বে উল্টা-পাল্টা ঔষধ খাইয়ে সম্মপত্তির ওয়ারিস হবে এ জন্য তার গর্ভের ভ্রæনও নষ্ট করেছেন স্বামী ও সৎ মেয়ে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এসব নির্মম নির্যাতনের কথা সাংবাদিকদের জানাচ্ছিলেন গৃহবধু কাজলী বেগম। এঘটনায় গৃহবধূর স্বামী রায়হান আলীসহ (৫০) সৎ চার মেয়েকে অভিযুক্ত করে বুধবার দুপুরে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতীত গৃহবধূর পিতা আবেদ আলী মুন্সি। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী স্ত্রীর ঘটনা এজন্য মামলা হয়নি। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী স্ত্রীর ঘটনা এজন্য মামলা নেওয়া হয়নি