নাটোরের নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কদিমচিলানে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরোও বাড়তে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


নাটোর প্রতিনিধি: শনিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে লালপুর উপজেলার কদিমচিলান কিলিক মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ও নাটোর থেকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল, বনপাড়া পাটোয়ারী ক্লিনিক ও আমেনা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এদিকে নিহত ও আহত পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শামসুন নুর ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাটোর-পাবনা সড়কের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান কিলিক মোড় এলাকায় পাবনা থেকে রাজশাহীগামী চ্যালেঞ্জার বাস ও পাবনাগামী লেগুনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৩ জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়। বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ও নাটোর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বনপাড়া পাটোয়ারী ক্লিনিক ও আমেনা হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতদের মধ্যে ১০ জন ঘটনাস্থলে ও বাকিরা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।আহতদের পরিস্থিতির অবনতি হলে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নিহত ১৪জনের মধ্যে ২জন শিশু, ৪জন মহিলা ও বাকিরা পুরুষ। নিহতদের মধ্যে এই পর্যন্ত ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, একই পরিবারের পাবনার মুলাডুলির মন্টু বিশ্বাসের ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২), মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস ও স্ত্রী আদুরি বিশ্বাস, লেগুনার চালক নীলফামারীর আব্দুর রহিম, লেগুনা যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রামের নারায়ানপুরের আবু তাহেরের স্ত্রী রজুফা, একই গ্রামের রুপচাদের স্ত্রী শেফালী বেগম, বড়াইগ্রামের জামাই দিঘার লজেনা বেগম (৬৫), পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীর আব্দুস সোবহান, টাঙ্গাইল গোপালপুরের রোকন উদ্দিন এবং রাজশাহীর চারঘাটের মীরকামারীর শাপলা খাতুন (২০)। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন নাটোর বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যার নাম নিশ্চিত করবে পুলিশ প্রশাসন। ওই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরো একটি তদন্ত কমিটি করেছে পুলিশ। এদিকে নিহত সকল পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা আর আহতদের ৫ হাজার করে টাকা সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। তবে জেলা প্রশাসক সার্বিক ড. রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, পরবর্তীতে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরো আর্থিক সহায়তা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *