বাগাতিপাড়ায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে পশুর হাট, অবৈধ চাঁদা আদায়
বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা: কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই বসানো হয়েছে পশুর হাট। উপজেলা প্রশাসন দাবি করেছেন অনুমোদন ছাড়া হাট বসাতে নিষেধ করা হয়েছে । সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ২নং জামনগর ইউনিয়নের জামনগর হাট, ৩নং বাগাতিপাড়া ইউনিয়নের তমালতলা হাট ও ৫নং দয়ারামপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর হাটে ছাগল বিক্রি করতে দেখা যায়। এ সকল হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করতে ইজারাদারদের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে চৌকি। প্রতিটি ছাগল বিক্রেতার কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে পঞ্চাশ থেকে এক’শ টাকা ও ক্রেতার কাছ থেকে দু’শ থেকে পাঁচ’শ টাকা। ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায় উপজেলাতে শুধুমাত্র পেড়াবাড়িয়া হাট ‘গরু-ছাগলের হাট’ হিসেবে অনুমোদিত। বাকীগুলোর কোন অনুমোদন নেই। দয়ারামপুর হাটে ছাগল ক্রয়কারী আমানুর রহমান বলেন, ‘একটি ছাগল ক্রয় করায় আমার কাছ থেকে পাঁচ’শ টাকা নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন না নিয়ে পশুর হাট লাগিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেয়া যায় কি না এমন প্রশ্নে দাবি করেন, অনুমোদন নিতে হয় বিষয়টি আমার জানা নেই। অনেক আগ থেকেই কুরবানির সময় পশুর হাট লাগে। তাই প্রথম দিকে মাইকিং করলেও পরে আর কোন প্রচারণা করি নাই। এমনিতেই মানুষ কেনা-বেচা করতে আসে।’ দয়ারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দয়ারামপুর বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুর ইসলাম মিঠু জানান, ‘অনেক দিন থেকেই হাট এভাবে চলছে। অনুমোতি নিতে হবে বিষয়টি আমাদের কাছে নতুন। ইজারাদার বর্তমানে হজের উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে আছে। তাই কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু দাবি করেছেন, ‘অনুমোদন ছাড়া হাট বসাতে নিষেধ করা হয়েছিলো। এর পরেও হাট লাগানো এবং অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বিষয়টি আমার জানার বাইরে।’ তবে কিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।