সাংবাদিকদের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি


তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট আদর্শ কলেজের আলোচিত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান এবার স্থানীয় সাংবাদিকদের মেরে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। আমাকে নিয়ে কোনো উল্টা-পাল্টা খবর প্রকাশ করা হলে আপনারা সাবধান কোয়েলের মাটিতে পা দিবেন না নইলে আপনারা যত বড় সাংবাদিক হোন না কেনো মেরে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া হবে ওপর মহলের এমন নির্দেশ আছে। আর আমার ক্ষমতা সম্পর্কে আপনাদের কোনো ধারনা নাই, স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এভাবে মুঠোফোনে হুমকি দিয়েছেন অধ্যক্ষ মিজান। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাস্ট্র মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করেছেন বিষয়টি সরেজমিন তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ আগস্ট বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে ‘স্কুল কমিটি গঠন নিয়ে মারপিট উত্তেজনা’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ হয়েছে। উক্ত সংবাদের জের ধরে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিজান সাংবাদিকদের হুমকি দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য খবর টি নিচে তুলে ধরা হলো। রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউপির কোয়েলহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন নিয়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষদের মারপিটের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, চলতি বছরের ৩রা আগস্ট শুক্রবার বিকেলে কোয়েলহাট বাজারে এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন কোয়েলহাট আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান তাঁর অনুগত সেলিম ও মুকুলকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের কছির উদ্দীন ও সারোয়ার হোসেনকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুত্বরভাবে জখম করে। কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর নিজেই সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার নেতৃত্ব দেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের বিধস্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তবে এখানো উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান তাঁর অনুগতদের নিয়ে কোয়েলহাট চত্তরে সভা আহবান করে ঘোষণা দেন কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের কেউ এসব বিষয়ে কথা বললেই তাদের হাত-পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে হবে এতে যা কিছু সব তিনি সামাল দিবেন। আর এই সভার পর থেকেই কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের মানুষ হাটে আসতে পারছে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২রা আগস্ট বৃহ¯প্রতিবার কোয়েল হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য অভিভাবকদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় মোট ৩৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ২৪৫ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। এতে আব্দুল ওয়াহেদ, আজাহার উদ্দীন, মোসলেম উদ্দীন ও সারোয়ার হোসেন সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। কিšত্ত সারোয়ার হোসেন অধ্যক্ষর অনুগত না হওয়ায় তাকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার আঙ্খায়িত করে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়। এ ঘটনায় সারোয়ার হোসেন তার আতœীয় কছির উদ্দিনকে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে কোয়েলহাট চত্ত্বরে অধ্যক্ষ মিজানুরের কাছে জানতে চাই তাকে কোনো বাদ দেয়া হবে। এ সময় তাদের জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার আঙ্খায়িত করে অধ্যক্ষ তার অনুগতদের তাদের বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় এলাকায় এখানো উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এব্যাপারে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) বলেন, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, সারোয়ার ও কছিরকে মারপিটের সত্যতা পাওয়া গেছে তবে এখানো কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে কোয়েলহাট আদর্শ কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কছির উদ্দিন স্কুলের জায়গায় সারোয়ার হোসেনের মদদে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করায় অভিভাবকরা তাদের মারপিট করেছে। এব্যাপারে সারোয়ার হোসেন বলেন, কছির উদ্দীন তার পক্ষে ভোট করেছে এবং তিনি কমিটিতে থাকলে নিয়োগ বাণিজ্য করা যাবে না আর এই অপরাধে অধ্যক্ষ তার অনুগতদের নিয়ে তাদের মারপিট করে জখম করেছে। এব্যাপারে কোয়েলহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান তার অনুগতদের নিয়ে কছির ও সারোয়ারকে মারপিট করেছেন বলে তাকে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *