সাতক্ষীরা বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ সার্জেন্ট আলী হোসেনের বিরুদ্ধে
সাতক্ষীরা,জেলা বিশেষ প্রতিনিধি: সৃষ্টের পালন দুষ্টের দমন,এই স্লোগানকে সামনে রেখেই আইনসৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা নির্ভর করে সাধারন জনগণ,পুলিশই জনগণের বন্ধু কথাটি চিরসত্য হলেও বাস্তবে এর কোন মিল নেই। পুলিশই এখন জনগণের শত্রুতে পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ ভুক্তভুগিদের। সরকারের চালিকাশক্তি হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। সাধারণ জনগণের জানমাল রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা থাকলেও ঠিক তেমনি রয়েছে তাদের বড় ধরনের ব্যর্থতা। তারই একটি উদাহরণ সাতক্ষীরা পুলিশের অন্যতম দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর সার্জেন্ট আলী হোসেন। যার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ পথযাত্রী,বিশেষ করে মটরবাইক চালকরা। সম্প্রতি দেশজুড়ে বিআরটিএ এর নিবন্ধনহীন ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অবৈধ যানবাহন এর বিরুদ্ধে মামলা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে তার চিত্র উল্টোটা।লাইসেন্স বিহীন গাড়ী মামলা দেওয়ার নামে কতিপয় ট্রাফিক সার্জেন্টরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা চাঁদাবাজি ও হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। শহরের বিভিন্ন রুটে দেখা যায় ট্রাফিক সার্জেন্ট এর কতিপয় সদস্যরা পথচারী মটরবাইক চালককে আটকিয়ে কাগজপত্র দেখার নামে বিভিন অসাংবিধানিক ইস্যু তৈরী করে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারলে মামলা ও গাড়ী জব্দ করার ভয় দেখান। এমনটা অভিযোগ করেছেন সম্প্রতি কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভুগি। তার একটি একটনি পিকআপ গাড়ীর বৈধ কাগজপত্র থাকলেও সার্জেন্ট আলী হোসেন এর হাত থেকে তার মুক্তি মেলেনি। তিনি ঐ পিকআপ চালককে বললেন আমাকে মাসিক টাকা দিতে হবে। আর টাকা দিতে না পারলে তোমার গাড়ির নামে মামলা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সার্জেন্ট আলী হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন আমি একটু ব্যস্ত আছি,পরে কথা বলব।এভাবেই চলছে সার্জেন্ট আলী হোসেনের নিরব চাঁদাবাজি। এভাবেই ট্রাফিক চাঁদাবাজি চলতে থাকলে সরকারের সাফল্য উন্নয়নের ধারা ব্যহত হবে।এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হবে। তাই অবিলম্বে সার্জেন্ট আলী হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল।