মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবনে ৫ ট্রলার থেকে ১০ জেলে অপহরণ
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস:বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন থেকে মুক্তিপণের দাবিতে ১০ জেলে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে বনদস্যু ছাত্তার ভাই বাহিনী নামের এক দস্যু দল শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালারচর টহল ফাড়ির জেটিতে নোঙ্গর করে থাকা ট্রলার বহরে হানা দিয়ে পাঁচ ট্রলার থেকে ওই ১০ জেলেকে তুলে নিয়ে যায়। বন বিভিাগ, কোস্টগার্ড, মৎস্য ব্যবসায়ীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।অপহৃত জেলেদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী জাকির দর্জির জেলে রাসেল (২৫), পাথরঘাটার হারিটানা গ্রামের ইদ্রিস মোল্লা (৩০), হালিম খানের পুত্র রফিক খান (২৮) ও কচুয়া উপজেলার ইয়াসিন (৩০)। অন্য জেলের নাম জানা সম্ভব হয়নি। দস্যুরা যাওয়ার সময় ট্রলার মাঝিদের কাছে তাদের মোবাইল নম্বর দিয়ে গেছে যোগাযোগের জন্য।
প্রসঙ্গতঃ জেলেরা অভিযোগে জানায়, গত তিন ধরে মোবাইল কোম্পানী টেলিটকের কটকা টাওয়ারের নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। অজ্ঞাত কারণে টাওয়ারের জেনারেটরে তেল সরবরাহ না করায় নেটওয়ার্ক বন্ধের ফলে জেলেরা আইন শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি এ কারণে দস্যুদের সুবিধা হয়েছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপহৃত জেলেদের মহাজনরা জানান, সাগরে মাছ ধরার পর দিন শেষে ওই ট্রলারগুলো শ্যালারচর টহল ফাড়ির জেটিতে নোঙ্গর করে থাকে। গভীর রাতে বনদস্যু ছাত্তার ভাই বাহিনীর ১০-১২ জন সশস্ত্র দস্যু ট্রলার বহরে হানা দিয়ে জেলেদের মারধর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তবে, মুক্তিপণের টাকা নির্ধারণ করেনি দস্যুরা।
পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মোহাম্মদ হোসেন জেলে অপহরণের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মংলা) অপারেশন কর্মকর্তা লেঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মুঠোফোনে বলেন, সুন্দরবনের টিয়ারচরের কাছে ৩ জন জেলে অপহরণের কথা শুনেছি। জেলেদের উদ্ধারে কোষ্টগার্ড কোকিলমনি ষ্টেশনের সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে