মাগুরার শালিখা থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
মাগুরা প্রতিনিধি: ঘুষ আদায় ও মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকতার অভিযোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মাগুরা শালিখা থানার ওসি রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে মাগুরার আদালাতে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শালিখা উপজেলার শাবলাট গ্রামের মৃত বিশারত মোল্লার ছেলে মহব্বত হোসেন। আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী শেখ গোলাম নবী শাহিন জানান, এ বছরের ৩১ মার্চ শালিখা উপজেলার শাবলাট গ্রামের কামরুল মোল্যার বাড়িতে টেকনাফের জামাল হোসেনসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ি বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে অবস্থান করছে বলে তার বাদী মহব্বত হোসেন জানতে পারেন। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে মহব্বত হোসেন বিষয়টি শালিখা থানাকে অবিহিত করেন। শালিখা থানা পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আসামীদের আটক করেন। পরে ওসি রবিউল হোসেন আসামীদের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে ২০ হাজার পিসের পরিবর্তে ২২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে আসামীদের আদালতে চালান করেন। বাকি ইয়াবা তার হেফাজতে রেখে দেন। উক্ত মামলায় ইয়াবার সন্ধানদাতা তার মক্কেল মহব্বত হোসেনকেও আসামীভুক্ত করেন। পরবর্তীতে ওসি রবিউল হোসেন মহব্বত হোসেনকে জানান তাকে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দিলে চুড়ান্ত চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে। মিথ্যা মামলা থেকে বাচতে মহববত হোসেন ১৪ মে ওসি রবিউল হোসেনের বাসার সামনে উপস্থিত হয়ে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ প্রদান করেন। কিন্তু টাকা গ্রহনের পরেও ওসি রবিউল হোসেন চার্জশীটে তাকে আসামীভুক্ত করেন। তিনি মামলায় আরো অভিযোগ করে রবিউল হোসেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনায় সহযোগি করে আসছেন। যাতে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে এবং রাষ্ট্রের চরম ক্ষতি হচ্ছে। অ্যাডভোকেট গোলাম নবী বলেন, উল্লেখিত ঘটনা উল্লেখ করে তার বাদী ২৫ জুলাই দন্ডবিধি১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দিয়েছেন।এ বিষয়ে শালিখা থানার ওসি রবিউল হোসেন বলেন, ইয়াবা উদ্ধারের দিন যে অভিযান পরিচালিত হয় সে অভিযানে আমি ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা। যিনি মামলা করেছেন মূলতঃ তিনি একজন মাদকসেবী। তার বিরুদ্ধে মারামারি, নারী নির্যাতন এবং মাদকসহ ১০টি মামলা রয়েছে। এই মামলা থেকে বাঁচতেই সে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে।