কুষ্টিয়ায় আলাদত চত্বরে ’আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা


আকরাম হোসেন সুজন,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নাতনি টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দেওয়ায় ’আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষারের দায়ের করা মানহানির মামলার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। রবিবার সাড়ে ১১ টায় কুষ্টিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ ১০ হাজার টাকা জামানতে স্থায়ীভাবে এই জামিন মঞ্জুর করেন। ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার। ওই মামলায় ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। গতকাল রবিবার সকাল ১০ টায় আদালতে জামিন নিতে যান মাহমুদুর রহমান। আদালতে দাড়িয়ে জামিন চাইলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জামিন হলেও হামলার খবর শুনে এজলাসে অবস্থান করেন মাহমুদুর রহমান। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ আদালতে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললে তিনি বিকাল ৪ টা ৫৫ মিনিটে একটা সাদা রঙ্গের প্রাইভেট কারে উঠে রওনা দেন। গাড়িতে উঠার পরপরই আচমকা তার উপর হামলাকারীদের মধ্যে একজন প্রথমে স্যান্ডেল ছুড়ে মারেন। এরপর চারদিক থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে কয়েকটি ইট তার মাথায় ও মুখে লাগে। এতে তার গাল,কপাল ও মাথার পিছনে কেটে যায়। হামলার মধ্য থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে গাড়ি থেকে বের করে আইনজীবিরা একটি চেম্বারে নিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা ওই আইনজীবির চেম্বারে হামলা চালায়। তারা বলেন, হামলাকারীদের বেশ কয়েকজনের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিলো।এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীরা হামরাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাদের উপর চড়াও হন হামলাকারীরা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মাহমুদুর রহমান প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, দেশের জন্য, ইসলামের জন্য এখানে প্রয়োজনে জবিন দিবো। আদালতের ভিতর হামরার জন্য পুলিশকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে পুলিশ আমাকে গুন্ডাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা করা হয়েছে। এর জন্য তাদেরকে একদিন আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। এ সময় কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে মাহমুদুর রহমান তাকে বলেন, হামলার সময় কোথায় ছিলেন, আপনারা তো আমাকে মার খাওয়ালেন। হাসপাতালেও নিয়ে যাচ্ছেন না। আমার সাড়া মুখ থেকে রক্ত ঝড়ছে, আমি যন্ত্রণায় দাড়াতে পারছিনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই আচমকা মাহমুদুর রহমানের উপর হামলাা হয়েছে। তবে পুলিশ না থাকলে আরো বড় ধরনের বিপদ হতে পারতো।হামলার বিষয়ে মাহমুদুর রহমানের বক্তব্য, উপরোক্ত মামলার বাদী কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষারের নেতৃত্বে তার নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষার বলেন, আমি যেহেতু মামলার বাদী, আমি মাত্র শান্তিপুর্ণভাবে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কে বা কারা হামলা করেছে সেটা জানা নেই। হামলার সাথে ছাত্রলেিগর কোনো নেতা কর্মী জড়িত নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *