ভেদরগঞ্জের কার্তিকপুর বাজারে পাহারা ধারকে বেঁধে রেখে ডাকাতি,আহত ৪
মোঃ জামাল উদ্দিন, শরীয়তপুর ব্যুরোঃ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় গভীর রাতে পাহারাদার ও ব্যবসায়ীদের বেঁধে রেখে ২টি স্বর্ণের দোকান ও একটি পেট্রোলের দোকানে ডাকাতি হয়েছে।মঙ্গলবার ( ১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের কার্তিকপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে । এ সময় ডাকাতের শটগানের গুলির শব্দে একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী আহত হন। অন্য ৩ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, গতরাত আনুমানিক ৩ টার দিকে ১৫/২০ জনের একদল সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত বাজারের ৮জন পাহারাদারকে বেঁধে ফেলে। এরপর ডাকাতরা দোকানে সাঁটার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ব্যবসায়ীদের বেঁধে রাখে। বিভিন্ন ধরনের আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত একদল ডাকাত বাজারে হামলা চালায়। বাজারের ২টি স্বর্ণের দোকান একটি পেট্রোলের দোকানে ডাকতি করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১লক্ষ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা সোনা, রূপা, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা সহ অানুমানিক প্রায় ১ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি এবং লুণ্ঠিত মালামালও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। লুট হওয়া দোকানগুলো হচ্ছে জয়রাম শিল্পালয়ের জনক বরুন পাল , প্রবীর পালের গীতা শিল্পালয় ও মোহাম্মদ দেওয়ানের পেট্রোলের দোকান।কার্তিকপুর বাজার বনিক সমিতির সেকেটারী ছাত্তার গাজী জানান, ২টি স্বর্ণের দোকানের স্বর্ণ, রূপা ও নগদ টাকা এবং পেট্রোলের দোকানের নগদ টাকা সহ প্রায় ১ লক্ষ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। এ ছাড়া আবুল কালাম সরকার নামের আরেক অটো ড্রাইবারকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তারা উপজেলার সিকদার মেডিকেলে চিকিৎসা নেন।পরবর্তীতে সকাল ৭টার সময় করন হোগলা গ্রামের ইদ্রিস করাতি (৩৫) কার্তিকপুরের বয়রা নদীতে গোসল করতে গেলে। একটি স্পীড বোটের সাথে চাপাতি, রামদা,দেশিয় অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারকে জানালে। তারা তাৎক্ষনিক বিষয়টি ভেদরগঞ্জ এবং নড়িয়া থানায় পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে।জেলা পুলিশ সুপার মহাদেয় আব্দুল মোমেন, গোসাইরহাটের সার্কেল তানভীর আহমেদ এবং ওসি ডিবি শরীয়তপুর জেলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, বাজার থেকে কিছু ব্যবসায়ী মোবাইল ফোনে জানান। ১৫/২০ জন ডাকাত সশস্ত্র অবস্থায় বাজারে ডাকাতি করছিল। ডাকাতির ঘটনা সত্য। বাজারের ৮জন পাহারাদারকে বেঁধে ডাকাতরা বাজারে ডাকাতি চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজেই আমার পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনা স্থলে চলে আসি। তখন ডাকাতরা পালিয়ে যায়। আমরা বাজারে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে।