বিরল উপজেলায় স্বরসতী মন্দির ভেঙ্গে ল্যাট্রিন নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা
মো: আফজাল হোসেন ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি: বহু পুরাতন স্বরসতী মন্দির ভেংগে ল্যাট্রিন নির্মাণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক জনের মাঝে এবং স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নে কালিয়াগঞ্জ গোবিন্দপুর এলাকায় ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ৬০নং গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন হয়। স্থানীয় লোকজন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পূজা অর্চনার জন্য স্খুলে একটি সাইডে পাকা ছাদ ঢালাই দিয়ে স্বরসতী মন্দির নির্মাণ করা হয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বর্তমান ইউপি সদস্য স্বরেন চন্দ্র সরকার ও ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা গত ৬ মাস পূর্বে স্বরসতী মন্দিরটি ভেংগে সেখানে স্কুলের একটি ল্যাট্রিন নির্মান করে। কথা ছিলো স্কুলের অন্য সাইডে মন্দির নির্মাণ করে দেয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের অবহেলার কারণে তারা মন্দির নির্মানের কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করাতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় মানুষদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরজ করছে। সরোজমিনে গেলে স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকাতে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম বিপ্লব ও দ্বিজেন্দ্র নাথ সরকার বলেন মন্দিরের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের কোন সিদ্ধান্ত ম্যানেজিং কমিটি গ্রহণ করে নাই। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় নেতৃবৃন্দ দুলাল চন্দ্র সরকার, শংকর সরকার, প্রভাত চন্দ্র সরকার, ডাঃ ফুলেন, দ্বৈত্য সরকার, ভজরাম সরকার বলেন, আমরা ঐ মন্দিরে ৩৫ বছর ধরে পূজা অর্চনা করে আসছি এবং আমাদের ছেলে মেয়েরা আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে স্বরসতী পূজা করে আসছে। আগামী মাঘ মাসে স্বরসতী পূজা কোথায় উৎযাপন হবে এ নিয়ে আমরা দুঃচিন্তায় আছি। আমরা বার বার প্রধান শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির সভাপতিকে বলেও কোন ফল পাইনি। আগামী স্বরসতী পূজার পূর্বেই স্বরসতী মন্দির নির্মাণ করা না হলে স্কুলের সাথে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় লোক জনের সাথে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আমরা আশংকা করছি। দ্রুত মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।