কুষ্টিয়া দৌলতপুর উগুদারা ঘাটকে সহ কেন্দ্র করে দুইপক্ষে আহত ৩৮।
আহসান হাবিব লেলিন (স্টাফ রিপোর্টার): কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকার চিলমারি গুদারা ঘাট মালিক সোহেল রানা সহ ৩ জনকে নদীর ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ গং। এই ঘটনায় বর্তমানে ঘাটের মালিক সোহেল রানা বুলেট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুলেটের মাথায় কোপ ও হাতে পায়ে রাম দা দিয়ে কোপানো হয়েছে। এই ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়। যার মামলা নং-০১/২৭৭। এই মামলা থেকে বাচতে উল্টো ঘাট মালিক সোহেল রানা বুলেট গংদের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার টাকা চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে সিরাজ চেয়ারম্যান গং। যা আদৌও সত্য নই বলে এলাকাবাসির থেকে জানায়। ভুক্তভুগী সোহেল রানা বুলেট গংয়ের দাবী কুষ্টিয়ার সু-যোগ্য পুলিশ সুপার এই মামলার সঠিক তদন্ত করলে কোন ভিত্তি মিলবেনা। কারণ আমি ঘাট মালিক আমি চাদার দাবি করেছি এটা কিভাবে সম্ভব। উক্ত মামলার বাদী দৌলতপুর ভাগজোত গ্রামের কাবিল হোসেন। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, ১ নং আসামী সোহেল রানা বুলেট, ২ নং আসামী মহিদুল ইসলাম, ৩ নং মিলন, ৪ নং হাফিজুর, ৫ নং আসামী তুষার, ৬ নং আসামী জিন্নাত সর্দ্দার, ৭ নং মখলেসুর রহমান, ৮ নং সালাম দফাদার, ৯ নং রাজিবুর, ১০ নং বাবু, ১১ নং তোফায়েল আহমেদ তপন, ১২ নং তসিলদার, ১৩ নং হবি দফাদার, ১৪ নং লোকমান, ১৫ নং গিয়াস উদ্দিন, ১৬ নং মিলন, ১৭ নং বানাত উল্লাহ, ১৮ নং তাহাজ বিশ্বাস, ১৯ নং রুবেল, ২০ নং তুষার আল মামুন, ২১ নং সম্রাট, ২২ নং কফিল, ২৩ নং আলী হোসেন, ২৪ নং মানিক, ২৫ নং ভাদু সর্দ্দার, ২৬ নং ইন্নাত সরকার, ২৭ নং মুনু সর্দ্দার, ২৮ নং লালু সর্দ্দার, ২৯ নং কালু, ৩০ নং জহিরুল, ৩১ নং মহাশিন, ৩২ নং রাজ্জাক, ৩৩ নং রকিবুল, ৩৪ নং রোকন, ৩৫ নং বাবু, ৩৬ নং বাংলা, ৩৭ নং মোহন ও ৩৮ নং মফিজকে আসামী করে মামলা করেন। মুন্সীগঞ্জ হতে ঢাকিপাড়া পর্যন্ত পদ্মা নদীর ঘাট কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ হতে লিজ নেওয়া হয়। ভাগজোত ঘাটে মানুষ চলাচল ও পারাপারের জন্য ৩০/০৬/২০১৮ তারিখ বেলা ১০টায় লোকজন বাশের চরাট দেওয়ার কাজ করছিল। এসময় আসামীরা লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া, রামদা নিয়ে উপস্থিত হয়ে লোকজন কে ঘিরে ফেলে। বুলেট ও মহিদুল বলে ঘাটে চরাট দিয়ে ব্যবসা করতে হলে ১ লক্ষ টাকা চাদা দিতে হবে। সরজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা জানায়, এখানে ১ লক্ষ টাকার চাদা চাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। এখানে চিলমারি গুদারা ঘাটের দখলকে কেন্দ্র করে সিরাজ চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে তার লোকজন নিয়ে বুলেট ও তার লোকদের কুপিয়ে জখম করেছে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ দারা খানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করলে চাঁদাবাজীর ঘটনা ঘটেছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে। বর্তমানে চিলমারি গুদারা ঘাট-১ এর ইজারা নিয়ন্ত্রণ করছেন সোহেল রানা বুলেট ও তার লোকজন। এই চাদাবাজী মামলায় সোহেল রানা বুলেটকে আসামী করায় তাদের লোকজন ঘাটে যেতে পারছে না। এই সুযোগে সিরাজ চেয়ারম্যান গং আবারো ঘাট দখলের পাঁয়তারা করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।