আত্রাইয়ে এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে বৈঠাখালী-থলওলমা রাস্তা সংস্কার
রুহুল আমিন,আত্রাই( নওগাঁ)সংবাদদাতা: নওগাঁর আত্রাই-পোড়াখালী রাস্তার বৈঠাখালী হতে থলওলমার মাঝে প্রায় ৫০০ ফুট রাস্তা সংস্কারের অভাবে যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল এলাকার হাজার হাজার জনগণ। রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নেয়ায় অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার করছেন এলাকাবাসী। এ রাস্তা সংস্কার করায় এলাকার ১৫ গ্রামের হাজার হাজার পথচারী সুফল পেতে যাচ্ছেন।
বৈঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, বৈঠাখালী হতে থলওলমা হয়ে মেটো রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পথচারী চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে উপজেলার থলওলম, ভাগসুন্দর, কাঁন্দওলমা,বাঁকীওলমা,বিপ্রবোয়ালিয়া, হরিপুর, বিশা, বৈঠাখালী, উদয়পুর, ভাঙ্গাজাঙ্গাল, নাটোরের খাজুরা, চাঁনপুরসহ প্রায় ১৫ গ্রামের হাজার হাজার লোকজন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। শুস্ক মৌসুমে ওই এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য এ রাস্তার বিকল্প আর কোন রাস্তাও নেই। রাস্তাটি প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ওই এলাকার লোকজন তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এ ছাড়াও স্কুলগামী শিক্ষার্থী, নারী ও শিশু পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। এ দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষের ভরসায় আর না থেকে এলকাবাসী নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কারের কাজে লেগে গেছেন। তিনি আরো বলেন, এলাকাবাসীর এ দুর্দশা দেখে আর সহ্য করা যায় না। তাই তাদের সাথে আমি নিজেও আজ সংস্কার কাজে যোগদান করেছি। থলওলমা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার বলেছি। তিনি অধ্যাবধি কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই সংস্কার কাজ করছি। ভাঙ্গাজাঙ্গাল গ্রামের মাহবুবুল ইসলাম মিলন, হরিপুরের ওহিদুর মেম্বার, ডুবাইয়ের মোহাম্মদ আলী বলেন, এই রাস্তা অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ার পরও রাস্তাটির প্রতি কর্তৃপক্ষের নজর নেই। এটি দ্রুত পাকা হওয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের পরিকল্পনা আমার ছিল। আগেই যখন এলাকাবাসী করেছে তা ভালই হয়েছে।আত্রাই উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, এ রাস্তাটি কাঁন্দওলমা পর্যন্ত পাকা করণ করা হয়েছে। আরও তিন কিলোমিটার অর্থাৎ ভৈঠাখালী পর্যন্ত পাকা করণের প্রাক্কালন তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হয়ে আসলে রাস্তাটি পাকা করণ করা হবে। তখর এলাকাবাসীর আর দুর্ভোগ থাকবে না।