মতলব উত্তরে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিষয়ে অসহায় পরিবারকে মারধর : আহত ২
বিশেষ প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাযীকান্দি ইউনিয়নের ছোট হলদিয়া (ভাসানচর) গ্রামে এক অসহায় পরিবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। এতে লুৎফা খাতুন (৫৫) ও তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন খান (৬৫) গুরুতর আহত হন। আহতরা বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিদ্যু সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৩ জুন বিকাল ৫ ঘটিকার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।আহতদের মেয়ে শাহিনা আক্তার বলেন, আমরা ২৪ জন গ্রাহক বিগত ৫ বছর পূর্বে বিদ্যুৎ আনার জন্য পাশের বাড়ির রফিকের স্ত্রী নুরজাহানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছি। এখন বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশেই একটি জমির মালিক নসু খানের ছেলে হযরত আলী। তার ওই জমিতে কোন বাড়ি ঘর নেই। ওই জমিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হলে আমাদের জায়গার উপর দিয়ে লাইন যায়। ফলে আমরা এতে অসম্মতি জানাই। এ নিয়ে শত্রুতা করে ছোট হলদিয়া গ্রামের হযরত আলী, তার ছেলে আল-আমিন ও সাইদ খান, হাবিল সরকারের ছেলে রুহুল আমিন সরকার, পচু সরকারের ছেলে পলিন সরকার, ওয়াসিম, সালাউদ্দিন সরকারের ছেলে মনির সরকার, অসু সরকারের ছেলে হালিম, অলিউল্লাহর ছেলে মনির সরকার মনুসহ আরো কয়েকজন লোক ভাড়া করে এনে আমার ও আমার ভাইয়ের উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা দেয়। আমার মা ও বাবা এগিয়ে আসলে তাদেরও ব্যাপক মারধর করে। আমার বাবা-মা এগিয়ে আসলে বাবার মাথায় আঘাত করে এবং আমার মাকে এলোপাথারিভাবে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেয়। তারা এখন চাঁদপুর হাসপাতালে আছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানায় আহতদের পরিবার।প্রত্যক্ষদর্শী সুফিয়া খাতুন ও রহিমা আক্তার বলেন, ২৪ জন গ্রাহকের মধ্যে ষ্টেকিং শিটে হযরত আলীর নাম নাই। তাছাড়া তার জমিতে কোন ঘরও নাই। সে খালি জায়গা বিদ্যুৎ নিবে বলে পায়তারা করছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন ও তার স্ত্রী লুৎফা খাতুনকে মারধর করে। স্থানীয় রাজিয়া বেগম জানান, আমরা ৫ বছর আগে বিদ্যুতের জন্য টাকা দিয়ে রেখেছি। কিন্তু হযরত আলী আরেকজনের জায়গার উপর দিয়ে তার খালি জমিতে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য হযরত আলীকে খোঁজ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে পলিন সরকার জানান, এক জনের জমির উপর দিয়ে আরেকজন বিদ্যুৎ নিবে এটাই স্বাভাবিক। গিয়াস উদ্দিন খান তার জায়গার উপর দিয়ে বিদ্যুৎ নিতে বাঁধা দেওয়ায় তর্ক-বির্তক হয়েছে। তবে কোন মারামারি হয়নি।