হায়রে প্রেম ! ঝিনাইদহে প্রেমিকা হারিয়ে হারপিক পানে যুবকের মৃত্যু !


জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ: পৃথিবীতে প্রেম নিয়ে কত চটকদার আর আবেগঘন কবিতা আছে। আছে প্রেমের কারণে রাজ্য হারানোর গল্প। প্রেমের কারণে হারপিক বা বিষপান নতুন কিছু না হলেও প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ২১ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে নানা তোলপাড় শুরু হয়েছে। চাপ দিয়ে প্রেমিকাকে কেড়ে নেওয়ায় হারপিক পান করে নিজের জীবন সাঙ্গ করেছেন চাকলাপাড়ার পুরাতন হাটখোলার মেজ বাবুর ছেলে সাদ (২১)। তাদের বাড়িতে এখন শোকের মাতম। ভাইকে হারিয়ে বোন হানি ও শিন এখন পাগলপ্রায়। অন্যদিকে, মেয়ের পিতা মোতাহার হোসেন মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে পালিয়েছেন। তার বাড়িতে এখন তালা ঝুলছে। এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, যুবক সাদের সাথে মার্জিয়া নামে এক কিশোরীর প্রায় দেড় বছর যাবত প্রেম ছিল। মার্জিয়া পিতা মোতাহার হোসেন পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। শহরের চাকলাপাড়া ওভার ব্রীজের কাছে বাড়ি। গত বৃহস্পতিবার মার্জিয়া কোচিংয়ে যাওয়ার নাম করে প্রেমিক সাদকে নিয়ে পালিয়ে যায়। মার্জিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। প্রেমিকার হাত ধরে চলে যাওয়ার পর মার্জিয়ার পিতা মোতাহার হোসেন পুলিশের সহায়তায় সাদের মা ও বোনদের আটক করে। তবুও ফিরে আসেনি মার্জিয়া ও সাদ। নিলয় নামে সাদের এক বন্ধুকে পুলিশ আটক করলে মার্জিয়াকে সাদ ফেরত দেয়। বাড়ি এসে জানতে পারে সাদের মা ও বোনদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় হারপিক পান করেন সাদ। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গত রোববার রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। সোমবার তার দাফন করা হয় চাকলাপাড়ায়। সাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মার্জিয়ার পিতা কাঠ ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেন স্বপরিবারে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার বিকালে সাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে সবাই কান্নাকাটি করছেন। মিডিয়ার সাথে কথা বলার মতো পরিবেশ নেই। অন্যদিকে মার্জিয়াদের বাড়িতে ঝুলছে তালা। এদিকে চাকলাপাড়ার পুরাতন হাটখোলা এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মেজ বাবুর ছেলে সাদ ছেলেটা ছিল অত্যান্ত অমায়িক, ভদ্র ছেলে। মার্জিয়া তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরেও কেন সাদকে একা মরতে হলো? প্রেম তো দু’জনেই করেছিল, তাহলে কি কারনে মার্জিয়া পরিবার সাদের মৃত্যুর খবরে স্ব-পরিবারে পলাতক? কি রহস্য আছে ঘটনার অন্তরালে সেটা চাকলাপাড়াবাসী জানতে চায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *