হরিপুর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ধান শুকানো জায়গা


জে.ইতি হরিপুর ঠাকুগাঁও প্রতিনিধি: রাস্তার পাশে নিথর ভাবে পারে আছে ভবনটি দেখার যেনো কেউ নেই। আশেপাশের লোকজনের কাছে এটি এখন ধান শুকানোর জায়গা হিসাবে বেশ পরিচিত। এক বছর আগে হরিপুর ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ভবন নির্মাণ শেষ হলেও এখনও এর কার্যক্রম শুরু হয়নি।আসেনি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। ফলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে এই উপজেলার মানুষের। গত কয়েক একদিন ধরে এমন চিত্র দেখা যায়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে ঠাকুরগাঁও সফরে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ছিল হরিপুর ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ভবন উদ্বোধন। উদ্বোধনেই থাকলো। এর কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করছে কতৃপক্ষ। কবে এর কার্যক্রম পরিচালনা হবে জানেনা হরিপুরবাসী। সূত্রে জানা যায়, গত বছর আগুন লেগে উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পরিবার সব কিছু পুড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। এত বাড়ি ঘর পুড়ে যাওয়ার পরেও সরকারের কোনো প্রশাসনের উদ্যোগ নেই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদী সংগ্রহের।হরিপুরবাসীর প্রাণের দাবি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জন্য। এমন দাবি আমলে নিয়ে স্থানীয় এমপি দবিরুল ইসলাম সরকারের দারে কয়েকবার জানালে বর্তমান সরকার উপজেলা বাসিন্দাদের সম্পদ অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষার জন্য ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের অনুমোদন দেন। যথারীতি গণপূর্ত বিভাগ ২০১৪ সালে দুই কোটি ৪০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার ভবন নির্মান করে। কিন্ত ভবনটি আজও পড়ে রয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, এলাকায় মাঝে মধ্যেই অগ্নিকান্ড, সড়ক দুর্ঘটনা ও বিদ্যুৎ স্পৃষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। এসব কাজে দ্রুত কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তিনি আরো জানান, ভবন নির্মাণ হলেও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন উপজেলাবাসী।উপজেলাবাসীর দাবি কবে চালু হবে সেই স্বপ্নের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। আর আমরা কবে আমাদের মূল্যবান সম্পদের রক্ষা সেই আগুনের লেলিহান শিখা থেকে। সেই অপেক্ষার প্রহর গুণছে হরিপুর উপজেলার মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *