রবিবারের কার্যতালিকার শীর্ষে রয়েছে খালেদা জিয়ার তিনটি মামলা
কুমিল্লায় হত্যা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং নড়াইলে মানহানির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল রবিবার ফের শুনানি হবে। মামলার তিনটির মধ্যে গত ২৪ মে কুমিল্লার হত্যা মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছিল। আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, রবিবার বাকি দুই মামলার শুনানি শেষে তিনটি মামলায় একসঙ্গে আদেশ দেয়া হবে। তবে রবিবারের কার্যতালিকায় দেখা যায়, খালেদা জিয়ার তিনটি আবেদনই শুনানির জন্য বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের কার্যতালিকার এক থেকে তিন নম্বরে রয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা শনিবার বিকেলে জানান, কুমিল্লায় হত্যা মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। কুমিল্লার বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং নড়াইলে মানহানির অভিযোগে দায়ের করা বাকি দুটি মামলার শুনানি রবিবার হবে। শুনানি শেষ হলে আদালত রবিবারই আদেশ দিতে পারেন বা আদেশের জন্য অন্য দিন নির্ধারণ করতে পারেন। কুমিল্লার হত্যা মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে এই তিন মামলায় ২০ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। পরদিন ২১ মে এই তিন মামলার মধ্যে দুটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রস্তুতির জন্য সময় চান। পরে আদালত জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করেন। সেদিন থেকে ধারাবাহিকভাবে তিনদিন কুমিল্লায় দায়ের করা হত্যা মামলার বিষয়ে দু’পক্ষ শুনানি করে।
এখন কুমিল্লার বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও নড়াইলে মানহানির মামলায় শুনানি শেষ হলে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন। এ ছাড়াও আগামী ২৮ মে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সমগ্র জাতির মানহানি এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে করা দুটি পৃথক মামলায় খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের ওপর হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে শুনানি হবে। গত ২২ মে আদালতের অনুমতি নিয়ে জামিন আবেদন দায়ের করার পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দুই মামলার শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য এসব মামলাসহ মোট ৬টি মামলায় জামিন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। পাশাপাশি ৪টি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের প্রয়োজন রয়েছে। যার মধ্যে একটিতে আদালত ইতোমধ্যেই হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন।