বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২পক্ষের মধ্যে কোন সমাধা হয়নি ॥ চীনা শ্রমিকদের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন চলছে ॥
মোঃ আফজাল হোসেন,ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২ পক্ষের মধ্যে কোন সমাধা হয়নি। চীনা শ্রমিকদেরকে দিয়ে কয়লা উত্তোলন চলছে। গত ১২ মে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়ন ও ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটি যৌথ ভাবে ১৩ দফা ও ৬ দফা দাবী আদায়ে আন্দোলন শুরু করেন। ১২ মে শনিবার শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘট খনি কতৃপক্ষ মেনে না নেয়ায় ১৩ মে রবিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন খনি প্রধান গেটে। গত ১৫ মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা খনির ভিতরে প্রশাসনিক দপ্তরে দায়িত্ব পালনে যাওয়া কালে কয়েকজন কর্মকর্তাকে কতিপয় বহিরাগত লোকজন ও উচসৃঙ্খল শ্রমিক তাদেরকে বাহিরে নিয়ে আসে এবং তাদের উপর লাঠি শোঠা নিয়ে হামলা করে তাদের আত্মচিৎকারে খনির কয়েকজন কর্মকর্তা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। খনির শ্রমিকদের হামলায় কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্লানিং এন্ড এক্সপ্লোরেশন) ও প্রকল্প পরিচালক এ. বি. এম কামরুজ্জামানসহ ২০ জন কর্মকর্তা আহত হয় বলে খনি কতৃপক্ষ জানান। গত ১৭ মে বৃহস্পতিবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহাম্মদ খনির মনমালা সভাকক্ষে শ্রমিকদের ১২ তারিখ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয় ও শ্রমিকদেরকে চলমান এমপিএম এন্ডপি চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়াম কি পরিমান সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন তা তুলে ধরেন। ১২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত খনির শ্রমিকরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজের যোগদানের আহবান করলেও খনি শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করায় গত ১৪ মে সোমবার থেকে খনি কতৃপক্ষ চীনা শ্রমিক দিয়ে ১ সিপটে কয়লা উত্তোলন করছেন প্রতিদিন ১ থেকে ১হাজার ৫শত মেট্রিকটন। কয়লার মজুদ স্থানে রাখা কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা মো. হাফিজুল ইসলাম ও শ্রমিকদের উপদেষ্টা মো. আমজাদ হোসেন শ্রমিকদেরকে কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ করলেও তাদের কথা রাখেননি আন্দোলন কারীরা। খনিকতৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ মিটানোর জন্য পেট্রোবাংলা পরিচালক(প্রশাসন) মো. মোস্তাফা ফিরোজকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য কমিটি গঠন করেন বলে খনি সুত্রে জানাযায়। তারা আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে তাদের দাবীর বিষয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিরশন করবেন। এ ব্যাপারে গতকাল ২৪ মে বৃহস্পতিবার খনিতে প্রশাসন ও শ্রমিকদের মধ্যে ১৩ দিনের বিরোধ মিটাতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলহাজ¦ মো. হাবিব আহাম্মদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. মোস্তফা ফিরোজ কে আহবায়ক করে ৩ সদস্য কমিটি গঠন করেছেন। তবে কবে আলোচনায় বসবেন তা এখন্ োসঠিক ভাবে বলা যাচ্ছেনা। কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, কয়লা উত্তোলন চলছে এতে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্টে কয়লা সংকট হবে না বা কোন প্রভাব পড়বেনা। খনির কর্মকর্তারা বহিরাগতদের দ্বারা আহত হওয়ার বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের বেশ কয়েকজন কমর্ কর্তা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা হয়েছে আইন তার নিজ গতিতে চলবে। শ্রমিকদের কাজে যোগদান বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমি বার বার তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কাজে যোগদানের আহব্বান জানিয়েছি। তারা তাদের কথাও রাখেননি। তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, তারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন খনি কতৃপক্ষ সে সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবেন।