মৃত নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রামে মৃত নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে নবজাতকের অভিবভাবকের তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে।সারাদিনের নানা নাটক আর দেন দরবারের পর সন্ধ্যায় মৃত নবজাতকটি হাসপাতালের বর্জ্যের গাড়ি থেকে নিয়ে অভিভাবককে বুঝিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২২ মে) চট্টগ্রামের চকবাজারের বেসরকারি পিপলস হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে ।অভিভাবকের অজ্ঞাতে মৃত নবজাতকটি যারা ডাস্টবিনে ফেলেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।সূত্র জানায়, আমেনা বেগম নামে এক নারী মঙ্গলবার পিপলস হাসপাতালে যমজ সন্তান প্রসব করে। এর মধ্যে একটি নবজাতক ছিল মৃত।জন্মের পর মৃত সেই নবজাতককে আমেনা কিংবা তার পরিবারের কাউকে দেখানো হয়নি। সবার অজ্ঞাতে মৃত নবজাতককে ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।যমজ নবজাতকের একটি ছেলে এবং আরেকটি মেয়ে। ছেলেটি মৃত জন্ম নেয়। আমেনার বেগমের স্বজনেরা প্রথমে ছেলে নবজাতকটিকে গায়েব করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করে।এই নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। পরে হাসপাতালের কর্মচারীরা গিয়ে ক্লিনিক্যাল বর্জের গাড়ি থেকে মৃত নবজাতকটিকে কুড়িয়ে এনে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।মঙ্গলবার (২২ মে) সকালে নগরীর পিপলস হাসপাতালে চিকিৎসক বিশাখা ঘোষ এবং কুসুম আক্তার আমেনা বেগমের অস্ত্রোপচার করেন।বিশাখা ঘোষ বলেন, অস্ত্রোপচারের পর মৃত ছেলেশিশুটি আমেনার মা আয়েশা বেগমকে দেখানো হয়। এরপর ডাস্টবিনে ফেলা হয়। তবে পরিবার সিদ্ধান্ত দেয়ার আগে ডাস্টবিনে ফেলা উচিৎ হয়নি।আয়েশা বেগম জানান, ট্রে-তে করে কটন মোড়ানো অবস্থায় একটি মৃত শিশু তাকে দেখানো হয়। তবে তিনি ভালোভাবে দেখতে পারেননি।এই ঘটনা জানাজানির পর আমেনার পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার দুপুর থেকে হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকে।