চট্টগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৌদ্ধভিক্ষুকে লাঞ্ছিত করার জের ধরে দু’পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১০
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর হাজারীরচর বড়ুয়া পাড়ায় এক বৌদ্ধভিক্ষুকে লাঞ্ছিত করার জের ধরে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে পূর্ব কালুরঘাট আরাকান সড়কের বাদামতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হাজারীর চর জ্ঞানাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মামলাও রয়েছে। একাধিবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।রবিবার সকাল ৮টায় উভয়পক্ষের বিরোধ নিরসনে বাংলাদেশ ভিক্ষু মহাসভার নেতৃবৃন্দ বিহারে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছিল। এতে বিহার অধ্যক্ষ সংঘপাল ভিক্ষুকে একপক্ষ পূর্বে জোর করে বিহার থেকে বের করে দিয়েছিল। তাকেও এদিন উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ভিক্ষু মহাসভার নেতৃবৃন্দ। তবে বাংলাদেশ বৌদ্ধভিক্ষু মহাসভার নেতৃবৃন্দ উভয়পক্ষকে উপস্থিত থাকার কথা বললেও তারা বিহারে আসেননি।সে অনুয়ায়ী সংঘপাল ভিক্ষু অটোরিকশা করে নগরী থেকে সকালে হাজারীরচর জ্ঞানাঙ্কুর বিহারে যাওয়ার পথে পূর্ব কালুরঘাট বাদামতল এলাকায় তাকে ধাওয়া দেয়া হয়। এ খবর এলাকায় পৌঁছালে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।সংঘপাল ভিক্ষু ব্রেকিংনিউজকে জানান, ভিক্ষু মহাসভার নির্দেশে বিহারে যাওয়ার পথে বড়ুয়া পাড়ার প্রবেশ পথে স্থানীয় সবুজ বড়ুয়া ও সত্য বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন লোক কিরিচ, লাঠিসোঠা নিয়ে গাড়ির পথরোধ করে। এরপর এখানে কেন এসেছি বলে কাপড় ধরে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। কোনো রকমে তাদের হাত থেকে ছুটে দৌঁড়ে পূর্ব কালুরঘাট পালিয়ে আসি।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিমাংশু কুমার দাস ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘বিহারের এক বৌদ্ধভিক্ষুকে নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধের জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।’বাংলাদেশ বৌদ্ধভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব বোধিমিত্র মহাথের’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।