নবাবগঞ্জে পারিবারিক বিরোধে মা ও পুত্রদ্বয়কে হত্যার চেষ্টা মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে শহিদুল ইসলাম: দিনাজপুর নবাবগঞ্জে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মা ও পুত্রদ্বয়কে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম ৫দিন পর পুলিশের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ এপ্রিল সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার মতিহারা গ্রামের মেহের উদ্দিনের পুত্র ছায়দার আলীর বাড়ির খুলিয়ানে। ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী ও থানায় দাখিলকৃত মামলার আবেদনের বর্ণনায় ছায়দার আলী ও তার পুত্র রফিকুল, ছায়দারের বিয়াই সামাদ আলী ও জামাই মাসুদ রানার মধ্যে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা ও পুত্রদ্বয় মনিরুজ্জামান এবং অহেদুলের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার সময় পূর্ব পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিমূলক দূর্বৃত্তরা অহেদুলের পথরোধ করে টেনে হেচড়ে ছায়দারের খুলিয়ানে নিয়ে বেদম কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। অহেদুলের ডাক চিৎকারে তার মা মাহমুদা ও ভাই মনিরুজ্জামান এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা একইভাবে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে এবং মাহমুদার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরদিন ২৪ এপ্রিল মাহমুদার ভাই মাহমুদ মোস্তফা বাদী হয়ে মামলা করার জন্য নবাবগঞ্জ থানায় একটি আবেদন দাখিল করে। থানার এসআই সোহেল ৫ দিন পর ২৮ এপ্রিল বেলা ১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে এসআই সোহেলকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন যে, ভিকটিমেরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ঘটনাস্থল তদন্ত করা হয়নি। উল্লেখ্য প্রতিপক্ষ আসামীরা এ মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার অপকৌশল হিসেবে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করে নবাবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে।