হরিণাকুন্ডুর ভবানীপুর বাজারে বন্ধ হচ্ছে না জুয়া ও অশ্লিলতা বেসামাল যুবসমাজ!
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ: এইচ.এস.সি পরীক্ষার মধ্যেও ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবাণীপুর বাজারে বৈশাখী মেলার নামে চলছে রমরমা জুয়ার আসর। গত ১৬ই এপ্রিল জেলা প্রশাসন থেকে ১৫ দিনের বৈশাখী মেলার অনুমতি নিয়ে চলছে উন্মুক্ত স্থানে জুয়া নগ্ন নৃত্য। হরিণাকুন্ডু থানা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এই জুয়ার আসর চলছে বলে অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের অনুমতিপত্রে জুয়া ও যাত্রার অনুমতি না থাকলেও আয়োজকরা নীতি নৈতিকতা বির্সজন দিয়ে জুয়া ও যুবতীদের নিয়ে অশ্লিল নৃত্য করা হচ্ছে। এছাড়া সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে উপজেলা ও আশপাশ এলাকায় আকর্ষনীয় মাইকিং করে মেলার প্রচার করা হচ্ছে। উঠতি বয়সের যুবকরা ভিড় জমাচ্ছে যাত্রা প্যান্ডেল ও জুয়ার আসরে। নাম পাল্টিয়ে জুয়ার নাম রাখা হয়েছে বৌরানী খেলা। যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার র্যাফেল ড্র করা হচ্ছে। সেই সাথে চলছে ফোরগুটি ও চরকা খেলা। জুয়াড়িদের পাশাপাশি বিভিন্ন এলকা থেকে স্কুল কলেজের ছাত্ররাও ভীড় জমাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। যাত্রা প্যান্ডেলের বাইরে পান বরজে বসানো হয়েছে জুয়ার আসর। আয়োজক কমিটি এতই বেপরোয়া হয়েছে যে, নামাজের সময় মাইক বন্ধ করছে না। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীরা জুয়া ও অশ্লিল নৃত্য দেখে বেসামাল হে পড়ছে। তাদের পড়ার টেবিলে ফেরানো যাচ্ছে না। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কে.এম শওকত হোসেন বলেন, মেলায় জুয়া চললে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কোনক্রমেই মেলার নামে জুয়া বা অশ্লীল নাচ গান সহ্য করা হবে না। বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে বন্ধ করার জন্য ওসি হরিণাকুন্ডু থানাকে জানিয়েছি। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না জুয়া ও অশ্লিলতা।