কৃষি কর্মকর্তার ভূল পরামর্শ বলে দাবি কৃষকের; এক বিঘা জমির ধান রক্ষা
বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা: জেলার বাগাতিপাড়ায় ধানের শীষে কালো স্পট দেখা দেয়ায় কৃষি উপ-সহকারীর পুরো জমির ধান কাটার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ কৃষকের। তবে এ অভিযোগ অস্বিাকার করেছেন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ডাকরমাড়িয়া গ্রামের রহিম উদ্দিন তার এক বিঘা জমিতে রোপন করা পাকা ধান কেটে ঘরে নিতে দেখা যায়। যখন ধান গাছ গুলোতে শীষ দেখা যায় ওই সময়ে ধানের শীষে কালো স্পট দৃশ্যমান হয়ে উঠে। সে সময় কৃষকের ধানের সমস্যা নিয়ে ওই এলাকায় কর্তব্যরত উপ-সহকারী কর্মকর্তার সরণাপন্ন হলে তিনি আক্রান্ত ধানগুলো কাটতে এবং মাঠের ধানের অন্য জমিতে কীটনাশক স্প্রে করতে বলেন বলে জানা যায়। কিন্তু কৃষক ধান না কেটে পাকা পর্যন্ত রেখে দেন। কৃষকদের দাবি কৃষি কর্মকর্তাগণ ফসলের ডাক্তার, তারাই যদি এমন ভূল পরার্মশ দেন তাহলে কৃষকদের দূর্ভোগ লাঘব হবে কীভাবে। ভুক্তভোগী কৃষক রহিম উদ্দিন এর দাবি, ‘আমার ধানে যখন পুরো শীষ বের হয়। তখন ধানের কালো স্পট দেখা দেয়। আমি কৃষি অফিসারকে জানালে তিনি আমার ধান দেখে পুরো জমির ধান গাছ কেটে ফেলার পরামর্শ দেন। এমন পরামর্শে আমি হতাশ হয়ে পড়ি। আজ ওই ধান পাকার পরে দেখি গোটা শীষজুড়ে দানা, তাতে কোন স্পট নেই । আমি ওই কৃষি অফিসারের কথায় ধানগাছগুলো কাটলে প্রায় বিশ হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়তাম। তারা কৃষকের ডাক্তার, রোগের কারণে যদি গাছকে মারার পরামর্শ দেন তাহলে তারা কিসের ডাক্তার।’বজরাপুর গ্রামের কৃষক সেন্টু মন্ডল দাবি করেন, ‘আমারও ধান লাগানো আছে কখনও কোন কৃষি অফিসারকে আমাদের কোন বিষয়ে পরামর্শ দিতে দেখিনি। আমাদের প্রতিবেশী রহিম উদ্দিন তার ভূল পরামর্শ না শুনায় অনেক টাকা ক্ষতির হাত থেকে বেচে গেল। আমার ধানে এমন কোন রোগ দেখো দেয়নি।’উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কৃষককে ধান কেটে ফেলতে বলার কথা অষি¦কার করে দাবি করেন, এটা ব্লাষ্ট রোগ। একবার সংক্রমিত হলে তা রক্ষা করা কঠিন। ছত্রাক জনিত জীবানু সংক্রমনের কারণেই এমন ঘটনা হয়েছে। তাই অন্য জমির ধান যেন একই সমস্যায় আক্রান্ত না হয়, তাই ভালো ধানগুলোতে নাটিবো স্প্রে করার পরামর্শ দেই। কৃষক ইউরিয়া সার বেশী ব্যবহারের কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী দাবি করেন, ওই রোগ থেকে উত্তোরণ সম্ভব, কিন্তু এমন ভূল পরামর্শ কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তারা কখনই দিবে না বলে জানান তিনি। এদিকে ধানের এমন রোগ সম্পর্কে ভিন্ন মতাতম জানিয়ছেন উপজেলার তমালতলা কৃষি ও কারিগরি কলেজের কৃষি বিভাগের ইন্সট্রাক্টর কৃষিবিদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ধানের শীষে এমন কালো স্পট দেখা দেয়াটা কোনভাবেই ব্লাস্ট রোগ নয় এটা ব্রাউন স্পট তবে এ রোগ থেকে উত্তোরণ সম্ভব।’