আদমদীঘিতে পরকিয়ার জেরে স্কুল শিক্ষককে হত্যা ॥ স্বামী-স্ত্রী আটক
আদমদীঘি প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ডুমুরীগ্রাম গ্রামের মধ্যপাড়ায় পরকিয়ায় আসক্ত এক স্কুল শিক্ষক কে কুপিয়ে ও গোপনাঙ্গ কেটে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে। জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের ডুমুরীগ্রাম গ্রামের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ওই গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ (৫৭) শিক্ষকতার পাশাপাশি মাছচাষ ব্যবসা করে আসছিল। গ্রামে থাকা তার পুকুরে চাষ করা মাছের খাদ্য দিতে প্রায়ই তার পুকুরে যেতেন। এর এক পর্যায়ে পুকুর পাশের বাসিন্দা কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আফরোজা বেগমের সাথে গল্প করা থেকে শুরু হয় পরকিয়া প্রেম। দীর্ঘ দিন ধরে পরকিয়া প্রেম চলার সময় প্রায় বছর খানেক পুর্বে পাড়া-প্রতিবেশীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এনিয়ে গ্রাম্য শালিসে মাতবেরা জরিমানা করে। এ ঘটনার পর কৃষক রাজ্জাক তার স্ত্রী আফরোজা কে নিজ আয়ত্বে রাখতে পারলেও শিক্ষক রশিদ পরনারীর লোভ সামলাতে পারেনি। ওই ঘটনার কিছু দিন পর থেকে সে ফের আফরোজা কে তার খপ্পড়ে ফেলার চেষ্টা করে আসছে। ঘটনাটি আফরোজা বেগম তার স্বামীকে অবহিত করে। এর থেকে তারা পথের কাঁটা রশিদ মাস্টারকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। নিহত রশিদের ভায়রা রেজাউল ইসলাম বলেন, রশিদ প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে পুকুরে মাছের খাবার দিতে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। শুক্রবার সকালে গ্রামবাসী ওই পুকুরের কিছু দুরে থাকা ভিটায় রশিদ মাস্টারের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। মৃতদেহ উদ্ধার করা এক গ্রাম পুলিশ জানায় খুনিরা রশিদ মাস্টারের মুখ মন্ডলে কুপিয়ে ও গোপনাঙ্গ কেটে খুন নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্য আবু সায়িদ মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান, এই খুনের ঘটনা পরকিয়ায় ঘটেছে বলে নিশ্চিত করে বলেন পরকিয়ার পাত্রি গৃহবধু আফরোজা বেগম ও তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এ রিপোর্ট পাঠানো সময় পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছিল।