ভ্রমন কর পরিশোধের ক্ষেত্রে হয়রানি ও প্রতারনার শিকার হচ্ছে


বোনপোল সংবাদদাতা: স্থলপথে ভারতে যাতায়াতকারী দেশী বিদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা আগামী বাজেটে ভ্রমন কর প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন। ভ্রমন কর পরিশোধের ক্ষেত্রে হয়রানি ও প্রতারনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ভ্রমনকর ফাকির জন্য সক্রিয় রয়েছে একটি প্রতারক চক্র। অনিয়ম, হয়রানি ও ভ্রমনকর ফাকির জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে এখানে প্রতিনয়িত। কাস্টমস ও পুলিশের হাতে জাল ভ্রমনকর সহ ভ্রমন কর ফাকি দেয়ার সময় বেশ ক’জন দালালকে হাতে নাতে আটক করেছে । তারপরও বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমন কর ফাকি দেয়া হচেছ প্রতিনিয়িত, অভিযোগ করেছেন খোদ কাস্টমস কর্মকর্তারা। চক্রটি এতই শক্তিশালী যে তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারাও হামলার শিকার হয়েছেন শেষ পর্যন্ত থানায় মামলাও হয়েছে। ভ্রমনকর থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের পরিমানও উল্লেখযোগ্য নয়। বেশীর ভাগ রোগী , গরীব ও অসহায় মানুষের যাতায়াত রয়েছে ভারতে। ইতিপূর্বে স্থলপথে ভ্রমনকর প্রত্যাহারের জন্য বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে পত্র দিয়েছেন। বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধু প্রতিম সম্পর্ক্য দীর্ঘদিনের। দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ ও ভারতে বসবাসকারী মানুষের স্থানান্তর ঘটেছে। ফলে দু’বাংলার মানুষের আত্মীয়তার সম্পক্য দীর্ঘদিনের। বেনাপোল আর্ন্তজাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৬/৭ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে। পূজা পার্বন ছাড়াও চিকিৎসা ও লেখাপড়ার কাজে বাংলাদেশে থেকে একটি বড় অংশ যাতায়াত করে থাকে ভারতে । অর্থিকভাবে সচল যাত্রীরা বেশীরভাগ বিমান যোগে, নিন্মআয়ের ও মধ্য বিত্বশ্রেনীর মানুষ যাতায়ত করে ¯হল পথে। ভ্রমনকর আইন ২০১৩, বিদেশ ভ্রমনকর হার নির্ধারন বিধিমালা ২০১৪ আনুযায়ী বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট যাত্রী প্রতি ৫০০ টাকা হারে ভ্রমন কর পরিশোধ করতে হয়। ¯হলপথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা বেশীর ভাগ নিন্ম মধ্যবিত্ব আয়ের মানুষ। ভ্রমন করের কারনে অনেকেই চোর্ইাপথে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকেন।ভারতীয় যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমন কর আদায় করা হলেও ভারতে বাংলাদেশী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমন কর নেয়া হয় না। এ নিয়ে প্রায়শ:ই ভারতীয় যাত্রীদের সাথে বাক বিতন্ডা হতে দেখা যায়। ভারতের পশ্চিম বংগের উওর ২৪ পরগনা জেলার পাসপোর্ট যাত্রী ও অরুন সরকার পসিপোর্ট নাম্বার -কে-৫২০৫১৫০, স্বপন বিশ্বাস পাসপোর্ট নাম্বার -৪০৩৪৫৪০ জানান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক্য, আমাদের দেশ বাংলাদেশীদের কাছ থেকে
ভ্রমন কর নেয় না । সে ক্ষেত্রে আমাদের কাছ থেকে কেন বাংলাদেশ সরকার ভ্রমন কর নেবেন সেটা আমাদের বোধ গম্য নয়। আমরা অবিলম্বে ভ্রমন কর তুলে দেয়ার জোর দাবি জনাচ্ছি। বাংলাদেশী যাত্রী ঢাকার মনজুরুল হাসান পাসপোর্ট নাম্বার-বিএম-০০৬৭৬৫৭, আফজাল হোসেন পাসপোর্ট নাম্বার -এজি -৮৩৫০৩৬৯ জানান, আমরা চিকিৎসা করাতে ভারতে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত, ভ্রমন কর আমাদের জন্য একটা বোঝা। ভ্রমন কর কাটতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়াতে হয়। আবার ব্যাংক বুথে অতিরিক্ত ১০/২০ টাকা হারে চাদা দিতে হয়। আমরা আগামী বাজেটে সরকারের কাছে ভ্রমন কর প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মো: বেলাল হোসেন চৈাধুরি জানান, ভ্রমনকর প্রত্যাহারের জন্য আমারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পত্র দিয়েছি। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ভ্রমনকর ফাকির জন্য সক্রিয় রয়েছে একটি প্রতারক চক্র। অনিয়ম, হয়রানি ও ভ্রমনকর ফাকির জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে প্রতারক চক্রের হামলা মামলার ঘটনা ঘটেছে। একজন ভুক্তভোগী মানুষের কাছ থেকে যখন ৫০০ টাকা কর নেওয়া হয়। এবং কমিশনার আরো জানান, একজন সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ভ্রমণ করের জন্য লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *