বাংলা নববর্ষে হরিপুর সীঁমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা


জে. ইতি হরিপুর, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সীঁমান্তে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল।ঠাকুরগাঁও বিজিবি ৩০ ব্যাটালিয়নের অধীনে হরিপুর উপজেলার কারীগাঁও মলানী, ডাববী, বেতনা, বুজরুক, হরিপুর এবং ভারতের শ্রীপুর, নারগাঁও, ফুলবাড়ি, কাতারগঁঞ্জ ও বোররা সীঁমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার এপার-ওপার রবিবার সকাল তেকে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হতে থাকে।এবার দুই বাংলায় পয়লা বৈশাখ একদিন আগে পরে হয়েছে।বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রতি বছর দু-দেশের হাজার হাজার মানুষ তাদের স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য হরিপুর উপজেলার ৩৬৬, ৩৬৭, ৩৬৮, ৩৬৯, ৩৭০, ৩৭১, ৩৭২ ও ৩৬২ নম্বর পিলার এলাকায় ভিড় জমায়।দেখা ও কথা না হওয়া পর্যন্ত কাঁটাতারের দু’পারেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকা দু-দেশের স্বজনরা।
এবার রবিবার সকালে কাঁটাতারের দু-পারেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষকে। কাঁটাতারের গেট না খুললেও বিএসএফের উপস্থিতিতে দু’পাশ্বে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সাথে দেখা ও কথা হয়।আদান-প্রদান করা হয় নানা রকমের খাদ্য সামগ্রী। স্বজনদের সাথে দেখা করতে আসা নাগর নদীর পাহাড়ে কথা হয় জেলা সদর থেকে আসা দানেস, সংগিতা রানি, দিনাজপুরের মিলন, শিলারানী, রমেস, শ্রীকান্ত, নীলফামারি জেলার বিমল, নারায়ণ, সুদীপ, আখিরানী পঞ্জগড়ের সুভাস জিতেন গোবিন্দগঞ্জের তমাবসাক, তনুরানী পীরগঞ্জের আলীম, মমিনার সাথে কথা হয় তারা জানান, ভারতে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার জন্যই তারা বাংলা নববর্ষের দিন নাগর নদীর পাহাড়ে আসেন। এই দিনটির জন্য প্রতিবছর তারা অপেক্ষা করেন বলেও জানান।এই বিষয়ই হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্য রুহুল কুদ্দুছ বলেন, বাংলা নববর্ষের নাগর নদীর মানুষ মেলায় আইন-শিঙ্খলার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে স্থানীয়ভাবে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় মেলাটি সুনামের সাথে প্রতিবছরই বসে থাকে তাই অন্যান্য বারের মতো এবারেও কোনরূপ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই মেলা শেষ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *