ময়মনসিংহের গোপালপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা, দপ্তরি আটক
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির (১২) এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের দপ্তরি আবু সাঈদকে (৩০) আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।রবিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্যাতিতা ওই ছাত্রী গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে দুই বান্ধবীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের সততা স্টোরে যায় কলম কিনতে। এ সময় কৌশলে দুই বান্ধবীকে ক্লাসে পাঠিয়ে দিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের দপ্তরী আবু সাঈদ পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই শিক্ষার্থী চিৎকার দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে মা-বাবাকে বিষয়টি অবগত করে। একমাত্র ছোটবোনের সাথে নোংরা ঘটনার খবর জানতে পেরে রবিবার সকালে বিদ্যালয়ে যান ভাই আল আমিন। তখন দপ্তরিকে মারধরের চেষ্টা করলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিয়া হেদায়েত হোসেন খাঁজা পরিস্থিতি সামলে সাঈদকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটক করে রাখেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে খবর দেন। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনাটি জানান। ওই সময় ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভিড় জমায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সাঈদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাঈদকে সাময়িক বরখাস্ত করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ। এদিকে শিক্ষার্থীর মা লাভলী আক্তার বাদি হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।লাভলী জানান, শনিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েটি কেঁদে কেঁদে ঘটনার বর্ণনা দেয়। আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। যাতে এই ধরনের কোনো ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিয়া হেদায়েত হোসেন খাঁজা বলেন, ওই শিক্ষার্থীর ভাইসহ কয়েকজন মিলে যখন দপ্তরিকে মারতে আসে তখনই আমি বিষয়টি জানতে পারি। আমিও চাই এ ধরনের অপরাধীদের কঠিন শাস্তি হোক। ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই দিদারুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়েটির সাথে কথা বলার পর সাঈদকে আটক করি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, আমি শুনেছি, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। অন্যদিকে ইউএনও আবু জাফর রিপন বলেন, মেয়েটির সাথে কথা বলে বোঝা গেছে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল।