ঢাকার গার্ডেন হেলথ কেয়ার কোম্পানীর গরু ঔষধ রুমিগার্ড পাউডারের প্যাকেটে ধান, চাল ও কাঠের গুড়া ঝিনাইদহে গরু মোটাতাজাকরণ পাউডারের প্যাকেটে কাঠ চাল ও ধানের গুড়া !

ঝিনাইদহ সংবাদাতা: ঝিনাইদহে গরু মোট তাজাকরণ (প্রিমিক্স) রুমিগার্ড পাউডারের প্যাকেটে মিলেছে ধান, চাল ও কাঠের গুড়া। এ নিয়ে খামারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ঝিনাইদহ শহরসহ জেলার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এ ধরণের পাউডারের প্যাকেটে ধান চালের গুড়া পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ। রোববার বিকালে ঝিনাইদহের নগরবাথান বাজারের ভাই ভাই ফার্মেসি থেকে গার্ডেন হেলথ কেয়ার কোম্পানীর প্রিমিক্স পাউডার কেনেন মাধবপুর গ্রামের খামারি রবিউল ইসলাম। তিনি ১০০ গ্রামের প্যাকেট খুলে দেখেন তাতে চালের গুড়া। একই ভাবে শাখারীদহ গ্রামের গরু পালক চান্দ আলী, নগরবাথান গ্রামের আকরাম ও লেবুতলা গ্রামের আলম গার্ডেন হেলথ কেয়ারের রুমিগার্ড পাউডার কিনে প্রতারিত হন। একই ধরণের প্যাকেটে ভিন্ন ভিন্ন জিনিস পাওয়ায় এই ওষুধ কোম্পানীর সততা ও ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। খোজ নিয়ে জানা গেছে রুমিগার্ড পাউডারের প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠানটির কারখানা ঢাকার আশুলিয়া এলাকার জিরাবো আমতলায়। হেড অফিসের ঠিকানা দেওয়া আছে রাজধানী ঢাকার ৩৪ লেক সার্কাস কলাবাগান। এদিকে নগরবাথান বাজারের ভাই ভাই ফার্মেসির মালিক সোহেল রানা জানান, ১০০ গ্রামের রুমিগার্ড পাউডার তারা খামারিদের কাছে ৮০/৯০ টাকায় বিক্রি করেন। আর কোম্পানী থেকে তারা কিনে থাকেন প্রতি প্যাকেট ৫৫ টাকায়। তিনি আরো জানান, ওষুধের প্যাকেটে ধান, চাল ও কাঠের গুড়া পাওয়ায় অভিযোগ পেয়ে তিনি কোম্পানীর সেলসম্যান নাজমুল হোসেনকে খবর দেন। কিন্তু তিনি আসেন নি। তিনি জানান, শাখারীদহের আলমদিনা ও ঝিনাইদহ শহরের তন্নি এবং ডিকে ফার্মেসিতেও এই ওষুধ সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে। রুবেল নামে এক অখ্যাত পশু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক খামারিরা এই পাউডার কিনে গরু ছাগলের সেবন করাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে, সারা জেলায় দেদরাছে মানহীন ওষুধ বিক্রি হলেও পশুসম্পদ বিভাগ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। ফলে খামারিরা প্রতারণার পাশাপাশি গরু ছাগলের জীবন নিয়েও শংকা প্রকাশ করছেন। বিষয়টি নিয়ে গার্ডেন হেলথ কেয়ার কোম্পানীর সেলস ম্যানেজার সুজিত কুমারের সাথে কথা বল্লে তিনি প্রথমে এই প্রডাক্ট তাদের নয় বলে অস্বীকার করেন। কিছুক্ষন পরে তিনি জানান, ফ্যক্টরিতে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলবেন। পরে আর ফোন দেননি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহে জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন এ নিয়ে কেও অভিযোগ দেয়নি। দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *