এগার বছরেও চাকুরীতে পূনর্বহাল হতে পারেনি দেলোয়ার হোসেন ভেলু
এসএম খোরশেদ আলম: ১৯৯০ সালের পূর্বলগ্নে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীর উন্নয়নের জোয়ার ততটা লক্ষণীয় না হলেও আসলে এ সময়কাল থেকে সরিষাবাড়ীর বৈপ্লবিক উন্নয়ন সংগঠিত হতে শুরু করে। ১৯৯০-১৯৯৫ এই পাঁচ বছরের উন্নয়ন সরিষাবাড়ী পৌরসভা, মাহামুদা সালাম মহিলা কলেজ, রাস্তাঘাট, দারিদ্র বিমোচনের বহুপন্থার ফলক উন্মোচনে প্রধান ভূমিকায় ব্যারিষ্টার আব্দুস ছালাম তালুকদার অবিস্বরণীয় কৃতিত্ত্বে¡র দাবীদার বলে মনে করেন সরিষাবাড়ীবাসী। সরিষাবাড়ী পৌরসভা, জেলা ডাকবাংলা, শিল্পকলা একাডেমিসহ সরিষাবাড়ী মাহামুদা সালাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্নে দরিদ্র-বেধাবী সাধারণ মেহনতি মানুষের জন্য তিনি বহু চাকুরীব্যবস্থা তথা আমৃত্যু চাকুরীর ব্যবস্থাও করে গেছেন বলে জানাযায়। মানুষের এক সমন্বয়ের ভালোবাসার দ্বীপ্ত প্রতিভাবান মানুষটি তৃণমূল পর্যায়ের নীবির সম্পর্কের সিদ্ধান্তে তিনি প্রতিভাবানদের মূল্যায়ন করেছেন। দেলোয়ার হোসেন ভেলুও সে সিদ্ধান্তের একজন আমৃত্য চাকুরীর স্বীকৃতপ্রাপ্ত মানুষ। তিনি (আব্দুস সালাম তালুকদার) এই পৃথিবীতে বেঁচে না থাকলেও বহু গুণগ্রাহীর কাছে অবিস্বরণীয় হয়ে রয়েছেন। ব্যারিষ্টার আব্দুস ছালাম তালুকদার-এর কৃতিত্ত্ব সৃষ্টির পথ স্তিমিত হলেও তাঁর কৃতিত্ত্ব চীরঅম্লান থাকবে বলে মনে করেন বিজ্ঞমহল। কিন্তু, তার পরলোক গমনের পর একটি প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম এই ‘জাতিবরেণ্য’ নেতার মানকে ক্ষুন্ন করছে বলে অনুসন্ধানী তথ্য-উপাত্ত্বে উঠিয়ে আনা হয়েছে। সরিষাবাড়ী মাহামুদা ছালাম (অনার্স )মহিলা কলেজের দীর্ঘ সময়ের অনিয়ম এমন তথ্য-উপাত্ত্বের সৃষ্টি করেছে। মহিলা কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ জহুরুল ইসলাম মঞ্জুর তত্ত্বাবধানের অনুমোদন সমেত বহু অধ্যাপক তথা নিম্ন শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে কলেজটির প্রতিষ্ঠালগ্নের সূচনা করেন তিনি (ব্যারিষ্টার আব্দুস ছালাম তালুকদার)। ১৯৯৯ সালের ২০আগস্ট তাঁর ওফাত লাভের পর থেকে কলেজটির অভ্যান্তরীন অর্ন্তদন্ত এর জের এক সময় অধ্যক্ষ মোঃ জহুরুল ইসলাম মঞ্জু, অধ্যাপক শ্রী রমেশ চন্দ্র ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন ভেলুর চাকুরী খর্বতার মধ্য দিয়ে কলুশমুক্ত কলেজটি কালিমা লেপনের অনিয়মে চলে আসছে বলে জানাযায়। রাজনৈতিক প্রভাবের জের কলেজটির এমন অনিয়মের কতৃত্ত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য দায়ী কীনা তা এখনও জানা যায়নি। জানা গেছে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, প্রভাষক এবং একজন মালী পদের চাকুরী চ্যুতির খবর প্রাতিষ্ঠানিক কোন ইস্যু ছিল না বরং ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থের জন্য এমন হঠকারীতার সৃষ্টিও করেছিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং অধ্যবদী (২০১৮) অধ্যক্ষ পদাধিকারী এমদাদুল হক বলে জানা গেছে। অধ্যক্ষ মঞ্জু তার লজ্জা সংবরণ করতে আর কখনো অত্র কলেজে প্রবেশ করেননি। কিন্তু অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র চাকুরীতে পূনর্বহাল হয়েছেন এবং আমৃত্যুপদাধীকারী মালির পদে থাকা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন ভেলুর সাথে চাকুরী পুর্নবহালের কোন আলোচনাতে বসতে রাজি হয়নি অধ্যক্ষ এমদাদুল হক। দেলোয়ার হোসেন ভেলুর এমপিও ব্যবস্থাপনা বন্ধ না চালু রয়েছে এ প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তার চাকুরীচ্যুতির পূনর্বহালের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ এমদাদুল হক এবং অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র কোন উত্তর না দিয়ে নিরবতা পালন করেন। একই সাথে চাকুরীচ্যুতির তিন জনের মধ্যে এক জনের চাকুরী পূনর্বহালের বিষয়টি অনিয়ম মনে করছেন সচেতন মহল। চাকুরী পূনর্বহালের মন্তব্যে দেলোয়ার হোসেন ভেলু বলেন, ‘প্রায় এগার বছর ধরে আমি চাকুরীতে পূনর্বহালের চেষ্টা করে আসছি এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি’। আমার মত গরীব-দু:খীর চাকুরী গুম করা একজন অধ্যক্ষের জন্য বড় কোন কাজ নয় তবে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমার চাকুরীচ্যুতি কিংবা পূনর্বহালের একটি প্রাতিষ্ঠানিক লিখিত প্রত্যার্পন আশা করছি। যা আমাকে চিন্তামুক্ত করতে সাহায্য করবে’।