পাবনায় এ.আর. রিয়েল স্টেট এর কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে অবহেলায় অধ্যাপক -এর মৃত্যু
অধ্যাপক কে. এম. রবিউল ইসলাম ১৫ ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং এ আনুমানিক বেলা ১১:১০ এ পাবনা শহরের রবিউল মার্কেটের সামনে এ.আর. রিয়েলস্টেট কর্তৃক নির্মাণাধীন বহুতল ভবন কাজী প্লাজার নিচতলায় অবস্থিত নাসরিন টেইলার্সে পূর্বে বানাতে দেওয়া বোরকা নিতে আসেন। এই সময় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে টয়লেটের খোজ করলে, নাসরিন টেইলার্সের মালিক মিন্টু দোতালায় টয়লেটের খোঁজ দেয়। রবিউল ইসলাম দোতালায় যান। নির্মাণাধীন ভবনের ঝুকিপূর্ন অরক্ষিত লিফটের স্থানে কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী নাথাকায় তিনি লিফ্ট স্থাপনের জন্য নির্ধারিত অরক্ষিত খোলা দর্জাটিকে টয়লেটের দরজা মনে করে প্রবেশ করতে গিয়ে দোতালা থেকে বেসমেন্টে গিয়ে পড়েন। পড়ে যাওয়ার ও আর্তনাদের শব্দ পেয়ে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক এগিয়ে আসেন। এরপর মিন্টুর পরামর্শে এ.আর. রিয়েল স্টেট এর কর্মচারী ও কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তায় তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং আহত অধ্যাপক রবিউলইসলামের আত্মীয়দের সাথে দেখা না করেই তারা তাকে হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রেখে চলে যায় । কেউ একজন, যার পরিচয় জানা যায়নি, ৫ রবিউল ইসলামের মোবাইল থেকে সিমটি খুলে আহত রবিউল ইসলাম এর আত্মীয়দের ফোন দেয় । আত্মীয়গণ হাসপাতালে এসে তাকে বারান্দায় পরে থাকতে দেখে, এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ৫ নং কেবিনের ৭ নং বেডটি পেয়ে বারান্দা থেকে কেবিনে স্থানান্তর করে। রবিউল ইসলাম এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে আত্মীয়গণ তাকে ঐদিনই বেলা ৪ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ত্যাগ করে এবং একই দিনে রাত ৮:৪৫ এ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যাপক কে. এম. রবিউল ইসলাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৬ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১ টায় তাকে তার নিজ গ্রামের বাড়ি বালিয়া ডাঙ্গায় দাফন করা হয়.মৃত্যুকালে অধ্যাপক রবিউল ইসলাম এর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর, মৃত্যুকালে স্ত্রী, তেরো বছর ও আড়াই বছরের দুই পুত্র সন্তান সাথে অনেক ঋণের বোঝা রেখে গেছেন ।
উলেখখ্য: যদিও নির্মাণাধীন ভবন হস্তান্তরের পূর্বে ভবনের নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব এ.আর. রিয়েল স্টেটের কর্তৃপক্ষর তারপরেও এ.আর. রিয়েল স্টেটের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানায় জানায় নাই, মৃত অধ্যাপকের আত্মীয়দের সাথে ফোনে বা অন্যকোনো উপায়ে যোগাযযোগ করে সমবেদনাও জানায়নি, বিষয়টি কিছুইনা এমন আচরণ করছেন. এ.আর. রিয়েল স্টেটের- এ. জি.এম. আহসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এর দায়দায়িত্ব এ.আর. রিয়েল স্টেটের- জি.এম. সাহেবের।এ.আর. রিয়েল স্টেটের জি.এম. সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে কোনো প্রকার প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন এবং বাড়িতে খেতে যাবেন বলে দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন।