নোয়াখালীতে স্বামীর হাতে গৃহবধূকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ


নাজিম উদ্দিন মিলন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আমেনা বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে উপজেলার ছিলনিয়া ইউনিয়নের চাচুয়া গ্রামের গৃহবধূ আমেনা বেগম স্বামী ও শাশুড়ির হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে তার মৃত্যু হয়।নিহত আমেনা বেগম ছিলনিয়া ইউনিয়নের চাচুয়া গ্রামের মোশারফের স্ত্রী।বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের চাচাতো ভাই লিটন বলেন, ৮ বছর আগে সেনবাগ উপজেলার ছিলনিয়া ইউনিয়নের চাচুয়া গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে মোশারফের সাথে বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মৃত নুরুজ্জামানের মেয়ে আমেনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতকের দাবীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রী আমেনাকে মারধর করতেন স্বামী মোশারফ ও শাশুড়ি। তাদের ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে।তিনি আরো বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে স্বামী মোশারফ ও শাশুড়ি আমেনাকে বেদম মারধর করে। এতে আমেনা অসুস্থ হয়ে পড়লে মোশারফ তাকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে আমেনার মৃত্যু হয়। পরে স্বামী মোশারফ হাসপাতালে তার স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যায়।পাশের বেডে থাকা একটি রোগী জানায়, তাকে বেদম নির্যাতন-নিপিড়ন করায় গাঁড়ে তার রক্তাত্ব ফুলা-জখম দেখা গেছে।নিহত আমেনার ভাবী রৌশন আক্তার সাংবাদিকদের কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমেনা তার হাতের ইসারায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা হয়েছে বুঝায় এবং নির্যাতকারীরা স্বামী তাকে মুখের ভিতর জোরপূর্বক কি ঢুকিয়ে দিয়েছে। এ যন্ত্রনায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বেলা ২ ঘটিকার সময় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। করে এলাকায় জনমনে থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে।সুধারাম মডেল থানার পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে আমেনার পিটে মারধরের আঘাতের চিহ্ন ও লজ্জাস্থান দিয়ে রক্তাক্ষরণের দৃশ্য রয়েছে বলে জানাযায়।সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *