আদমদীঘি হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল জরুরী রোগী স্থানান্তরে চরম ভোগান্তি
আদমদীঘি প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর এ্যাম্বেুলেন্সটি সম্পূর্ন রুপে বিকল হয়ে গ্যারেজে পড়ে থাকায় জরুরী রোগী স্থানান্তরে মারাত্বক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরী ভাবে এখানে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা না হলে স্থানান্তরের অভাবে অনেক রোগী মৃত্যুর মুখে পতিত হবে বলে আশংকা রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করার জন্য কতৃপক্ষ বরাবর পত্র প্রদান করেও কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে স্থানান্তর রোগী নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন রোগীর অভিভাবকরা। জরুরী ভিত্তিতে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স প্রদানের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন উপজেলাবাসী।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট অত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রতিদিন বহিঃ বিভাগে শত শত রোগীর চিকিৎসা দেয়া হলেও গুরুত্বপূর্ন রোগীদের ভর্তি এবং অধিক গুরুত্বপূর্ন রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নওগাঁ সদর এমনকি ঢাকাতেও স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯৪ সালে এই হাসপাতালে নতুন এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। এ উপজেলায় প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের জন্য মাত্রা একটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও দীর্ঘদিনের পুরাতন লক্কর ঝক্কর এই এ্যাম্বুলেন্স প্রায় সময় রাস্তায় বিকল হয়ে থাকে। প্রায় সময় শোনাযায় এ্যাম্বুলেন্সের চাকা কিংবা ইঞ্জিন অথবা ব্যাটারি নষ্ঠ হয়ে যায়। চলতি বছরের প্রথম দিক থেকে লক্কর ঝক্কর এ্যাম্বুলেন্স টি একেবারে অকেজু হয়ে পড়েছে। বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় জরুরী রোগীদের স্থানান্তরে সীমাহীন দূভোগে পোহাতে হচ্ছে রোগীর অভিভাবকদের। জরুরী রোগী বগুড়া বা নওগাঁয় নিতে ভাড়ায় সিএনজি বা মাইক্রোবাস ভাড়া করে অতি কষ্টে নিতে হচ্ছে
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ অফিসার ডাঃ শহীদুল্ল্যাহ দেওয়ান জানান, চলতি বছরের ১৯ ই জানুয়ারী মাসে হাসপতালের সরকারী এ্যম্বুলেন্স পুরোপুরি অকেজু হয়ে পড়ে। মেরামত করলেও গাড়ীটি চলা অসম্ভব এ ব্যাপারে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর সহ উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তবে হাসপাতালে এ্যাম্বলেন্স না থাকায় রোগীদের বিরুম্বনা সহ প্রানহানি ঘটনা যে কোন সময় ঘটতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে এই হাসাপাতালে এ্যাম্বুলেন্স প্রদানের জন্য আশা করছি।