সান্তাহারে সওজ কারখানা বিভাগের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
আদমদীঘি প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে অবস্থিত সড়ক ও জনপথ কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কারখানা এলাকার বিপুল সংখ্যক গাছ কেটে বিক্রি করা সহ নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী ও উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবরে ঠিকাদারদের পাঠানো অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম কারখানায় যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে সম্প্রতি কারখানা এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক বনজ ও ফলদ গাছ কেটে স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রি করে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে নিজস্ব ঠিকাদার দিয়ে কারখানা বিভাগের একাধিক কাজ করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম বরাদ্দ পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ও দ্বিতীয় বরাদ্দের পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার এবং চার লাখ ১৭ হাজার টাকার কাজ কাগজে-কলমে দুই ঠিকাদারকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন দেখিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। অভিযোগে আরো জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন মেরামত কাজের জন্য যন্ত্রাংশ না কিনে ঠিকাদারদের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কারখানা এলাকায় থাকা দুটি পুকুরের মাছ বিক্রি করে সুমদয় অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামদি ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর সুষ্ঠ তদন্তের জন্য ওই বিভাগের ঠিকাদারদের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রালয়ের মন্ত্রী ইমাজউদ্দীন প্রামানিক শফিকুল ইসলামের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোড় সুপারিশ করেন। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা অভিযোগ গুলো পুরোটায় মিথ্যা বলে দাবী করেছেন। গাছ কাটার বিষয় স্বীকার করে তিনি বলেন, ঝড়ে ডালপালা ভেঙে যাওয়ায় কিছু গাছ কাটা হয়েছে। তবে পুকুরের কোন মাছ বিক্রি করা হয়নি।