নওগাঁর আত্রাইয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দেড় বছর আগে টাকা দিলেও গ্রাম বাসী এখনো বিদ্যুৎ পাইনি। জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন ফি ১০০টাকা দিতে হয় তার বাহিরে সদস্য ফি হিসাবে ৫০ টাকা এবং মিটার জামানত বাবদ ৪০০ টাকা নেওয়া হয়। এই ৪০০ টাকা ফেরৎ যোগ্য। এর বাহিরে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আর কোন টাকা দিতে হয় না। উপজেলার কালিকাপুর ও হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের কিছু অংশ নন্দনালী গ্রামের ১০৫ টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ১০৫০০/=ও ১১৫০০/= টাকা করে দেন । ভূক্তভোগীরা বলেন, নন্দনালী গ্রামের চয়েন উদ্দিন মাষ্টার, আত্রাই ইলেট্রিক মিস্ত্রী সমিতির সভাপতি ইলেট্রিশিয়ান মেজর আলী(ম্যাজো)ও সাবেক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আজিজুর রহমান পলাশ তাদের কাছ থেকে এ টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু দেড় বছর অতিবাহিত হলেও তারা এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাননি। এ ব্যপারে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)চেয়ারম্যান প্রভাষক নাজমূল হক নাদিম ও হাটকালু পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি)চেয়ারম্যান আব্দুস শুকুর সরদার বলেন, এ বিষয়ে উক্ত গ্রামের ভূক্তোভোগীরা গত কয়েক দিন পূর্বে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে যাঁরা টাকা আদায় করেছেন, তাঁদের টাকা ফেরৎ দিতে বলা হয়েছে।তবে তাঁরা টাকা ফেরৎ দিয়েছেন কি না জানা নেই। গ্রামের দিন মজুর আবুল হোসেন বলেন,বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য টাকা যোগাতে গরু বিক্রয় করে দেন। তিনি বলেন, তারা তারি বাড়িতে কারেন্ট বা বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার আশায় বাড়ির গরু বিক্রয় করে চয়েন উদ্দিন মাষ্টারের হাতে ১০,৫০০ টাকা দেন। কিন্তু দেড় বছর পার হয়ে গেলও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পাইনি। এখন টাকা ফেরৎ চেয়ে পাচ্ছি না। এছাড়া একই গ্রামের দিলিপ কুমারপাল, জিয়ারুল, আতাউর, মোবারক, কামাল,রফিকুল, শান্তন্ন, রুহুল, করিম, ফরহাদ,ধীরেন পালসহ ২০/২৫ জন বলেন,বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য এনজিও থেকে টাকা কর্য নেন। টাকা নেওয়ার বা আদায় করার সময় তাঁদের কত তোর জোর তা মনে হয়েছিল কালই বিদ্যুৎ চলে আসবে। টাকা দেওয়ার পর আর দেখা নেই। এখন আজ-কাল করে সময় পার করছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চয়েন মাষ্টারের সংগে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন,বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে গ্রাম বাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। বিদ্যুৎ- সংযোগ খরচ, জামানত ও ঠিকাদারের কাজ করতে গিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাঁকি টাকা সদস্য, ফি, মিটার জামানত, সিএমও বাবদ খরচ করা হয়েছে।এ বিষয়ে আত্রাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরি সাবেক পরিচালক আজিজুর রহমান পলাশ বলেন, আমি দায়িত্ব থাকা কালিন সময়ে এ বিষয়ে নন্দ নালী গ্রাম বাসী কেউ বা ভ’ক্ত ভোগীরা বিদূৎ সংযোগে দিতে টাকা আদায় করা হচ্ছে তাহা আমার জানা নাই বা কেউ অভিযোগ দেন নাই। তবে আমি আমার ক্ষমতা অর্পনের শেষে গ্রাম বাসীর নিকট থেকে মোৗখিক ভাবে জেনে ঐ গ্রামে বাসীর সহিত মিলিত হয়ে আলোচনা করে দ্রæত বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কার্যালয়ে যোগাযোগ করে বিদ্যুৎ বিষয়ে কথা বলেছি।আমার উপর অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা বা বানোয়াট।আত্রাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম ফিরোজ জামান বলেন, এই এলাকার লোকজন বিদ্যুৎতের কার্যালয়ে আসেন না। ফলে দালালেরা যা বলেন, গ্রামের সহজ-সরল মানুষরা (বাগ্রামবাসীরা) তাই বিশ^াস করেন।সংযোগ পেতে কত টাকা লাগে, তা জানতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে জেনে নিলেই এভাবে প্রতারিত হতে হয় না। তবে নন্দনালী গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে কেউ তাঁকে অভিযোগ দেয়নি। আর নন্দনালী গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন কাগজ পত্র বা সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন আত্রাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দেন নাই। এলাকা বাসীর দাবী এবিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায় কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সহ নন্দনালী গ্রামে দ্রæত বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *