সান্তাহারে এসএসসি’র ব্যবহারীক পরিক্ষায় ঘুষ না দেয়ায় খাতা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন শিক্ষক
আদমদীঘি প্রতিনিধি: চলতি এসএসসি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেস কাটতে না কাটতেই এবার ব্যবহারীক পরীক্ষায় ঘুষ বাণিজ্য করার অভিযোগ মিলেছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকের মাধ্যমে খাতা তৈরী না করা ও দাবী করা ঘুষ না দেয়ায় অর্ধশত পরীক্ষার্থীর খাতা মুখের উপড় ছুঁড়ে ফেলে দেয়া ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার সান্তাহার শহরের সনামখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিপি উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগে জানা গেছে, আগামী ৩ মার্চ ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দুই শতজন পরীক্ষার্থীর ’তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়ের ব্যবহারীক পরীক্ষার দিন ধার্য আছে। এই দুই শত পরীক্ষার্থীর মধ্যে দেড় শতজনের নিকট থেকে জনপ্রতি তিনশত টাকা করে ঘুষ নিয়ে ব্যবহারীক খাতা প্রস্তুত করে দিয়ে ওই বিষয়ের শিক্ষক মাহফুজুর রহমান মুকুল রবিবার খাতা গুলো জমা নেয়। কিন্তু অবশিষ্ঠ ৫০ পরীক্ষার্থী নিজেরা খাতা প্রস্তুত করে নিয়ে এসে জমা দিতে গেলে, ওই শিক্ষক তাদের উপড় প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং জনপ্রতি ৫শত টাকা ঘুষ দাবী করেন। পরীক্ষর্থীরা ঘুষ দিতে অস্বিকার করলে তিনি অশ্লিল ভাষায় গালাগালি দেয়ার এক পর্যায়ে খাতাগুলো তাদের মুখের উপড় ছুঁড়ে দেয় এবং বিদ্যালয় থেকে চলে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে ওই পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ঘটনা জানতে পেরে বিদ্যালয়ে সমবেত হয়ে ঘুষখোর ও গালিবাজ ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার দাবী করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন তালুকদার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও ব্যবহারীক খাতা জমা নেয়া এবং প্রাপ্ত নম্বর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহফুজুর রহমান মুকুল পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন।