ওজোপাডিকো’র বিদ্যুৎ বিল বাকি পড়েছে কালীগঞ্জসহ আট পৌরসভায় ৯ কোটি টাকা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দক্ষিণের চার জেলার আট পৌরসভার কাছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওনা প্রায় ৯ কোটি টাকা। গত ১১ বছরে এ বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ওজোপাডিকো’র কর্মকর্তাদের দাবি, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আট পৌরসভার কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে একাধিকবার ধরনা দেয়া হয়েছে। বিল আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন ৮টি পৌরসভায় প্রায় ৯ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে শুধু কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও কুমারখালী পৌরসভার বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভেড়ামারা পৌরসভার ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং কুমারখালী পৌরসভার প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৭১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। একই জেলার শৈলকুপা পৌরসভায় ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, কালীগঞ্জ পৌরসভায় ১ কোটি ৩৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা, কোটচাঁদপুর পৌরসভায় ২ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং মহেশপুর পৌরসভায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর পৌরসভায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৩৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা পৌরসভায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এ আট পৌরসভার কাছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৮২ লাখ ৭৫ হাজার ৩০২ টাকা। কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও ভেড়ামারা পৌরসভায় বিদ্যুৎ বিল অনাদায়ে বিদ্যুৎ বিভাগ নানা উদ্যোগ নিলেও তা কজে আসেনি। এ বিল আদায়ের জন্য সর্বশেষ বিদ্যুৎ বিভাগ শরণাপন্ন হয়েছে আদালতের। বিল পরিশোধের জন্য এরই মধ্যে দুই পৌরসভাকে দেয়া হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ। এদিকে দেশের আর্সেনিক প্রবন জেলা কুষ্টিয়ায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৮টি শক্তিশালী পাইপ লাইনের পাম্প স্থাপন করা হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় পাম্প গুলো চালু করা যায়নি। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ দিচ্ছে না। কুমারখালী পৌরসভার মেয়র শামসুজ্জামান অরুণ জানান, আমাদের কিস্তি করে দিলে এখন থেকে বিল পরিশোধ কার্যক্রম শুরু করতে পারি। অপরদিকে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র শামীমুল ইসলাম ছানা ওকালীগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ মকছেল আলী বিশ্বাস বলেন, দায়িত্ব নেয়ার আগে থেকেই বকেয়া বিলের বোঝা আমার ওপর চেপেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *